রাবি লাইভ: গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু তার সহপাঠী, ছাত্র উপদেষ্টার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে প্রাণে বেঁচে গেলো এই শিক্ষার্থী। বর্তমানে রামেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে (৬ এপ্রিল) নগরীর আলমের মোড় সংলগ্ন ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সমস্যা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে তার সহপাঠীরা।
বন্ধুরা বলছে, পূর্বে থেকে শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যা ছিলো। পাবনা মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাবিতে পড়াশোনা না করানোর জন্য পরিবার থেকে চাপ দিচ্ছিলো। কিন্তু সে চাচ্ছিলো এখানেই থাকবে। মূলত পারিবারিক কারণ হতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
কামরুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) স্ট্যাটাসে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী সিলিং ফেনের সাথে গলায় গামছা বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি অবস্থা থেকে এসেছে ছেলেটা। আলহমদুলিল্লাহ বর্তমানে মোটামুটি একটা অবস্থা আছে। জানিনা কি হয় তবে রাজশাহী মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পর আইসিইউতে বেডিং পাওয়া সহ বিভিন্ন পর্যায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রশংসনীয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর তারেক নুর স্যারকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। জানিনা ছেলেটা বাঁচবে কিনা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সর্বোপরি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। ফাঁসি থেকে নামানো সহ আইসিইউতে ভর্তি পর্যন্ত ওর সাথেই ছিলাম। আজকে ওর মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে বুঝতে পারলাম আত্মহত্যা কতটা ভয়ানক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'ছাত্রাবাসে যখন ওই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগায় সে সময় মেসে থাকা রফিক নামে ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষার্থী তাকে দেখে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তামানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘন্টা না পেরোলে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
আত্মহত্যা চেষ্টা কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তবে পারিবারিক সমস্যা কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানান ছাত্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'এখন ওর পরিবার বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে ওর বোন এবং বোনজামাই রয়েছে। আমি সন্ধ্যার পর গিয়ে কথা বলব।'
এ বিষয়ে জানতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি ড. নূরুল হুদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা, ০৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: