পাবিপ্রবি লাইভ: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় জানুয়ারির ২৩ তারিখ থেকে। যেখানে সাক্ষাৎকারের জন্য এ ইউনিটে ৬৬০ আসনের বিপরীতে ডাকা হয় ৬৬১৪ জন শিক্ষার্থীকে। বি ইউনিটে ১৫০টি আসনের বিপরীতে ডাকা হয় ১৫০১ জন শিক্ষার্থীকে এবং সি ইউনিটে ১১০টি আসনের ডাকা হয় ১১০০ জন শিক্ষার্থীকে।
এখন পর্যন্ত দেওয়া ১২টি মেরিট দেওয়া হয়েছে এবং ১২তম ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের তথ্যমতে ১২তম মেরিট লিস্টের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও ১৩২টি আসন ফাঁকা রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১০০টি আসন ফাঁকা এ ইউনিটে। ১৩২টি আসনে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি এ ইউনিটের মেরিট লিস্টের ৬৬১৫ থেকে ৮৮১৫ জন শিক্ষার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন, বি ইউনিটে ১৫০২ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত এবং সি ইউনিটে ১১০১ থেকে ১৫০০ পর্যন্ত মেরিট লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন।
১৩তম মেরিট লিস্ট প্রকাশের পর কত জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন তার উপর নির্ভর করবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস। যদি ১৩তম মেরিট লিস্টে সব গুলো আসন পূরণ হয়ে যায় তাহলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সদস্যরা। আর ১৩তম মেরিট লিস্টের ভর্তির পরেও আসন সংখ্যা খালি থাকলে পুনরায় মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে এবং ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
তবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস কবে শুরু হবে তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ভর্তি কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সদস্যরা। ভর্তি কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. খাইরুল আলম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় ভিসি, প্রো-ভিসি কেউই নেই। এই ক্ষেত্রে অভিভাবক শূন্য অবস্থায় নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবেনা। যদি ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মধ্যেই নতুন মাননীয় ভিসি অথবা প্রো-ভিসির নিয়োগ হয় তাহলেই নতুন সেমিস্টারে ক্লাস শুরু করা যাবে।
একই ধরনের কথা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের একাডেমিক ও স্কলারশীপ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল মজিদও। তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় ভিসি, প্রো-ভিসি মহোদয় কেউই নাই। ভিসি, প্রো-ভিসির অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করতে পারবে না।
তবে একটি সূত্র ক্যাম্পাসলাইভকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কমিটি চাইলে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করতে পারেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থির অবস্থায় ডিন কমিটি সেই ঝুঁকি নিবেন কিনা সেটা দেখার বিষয়।
এদিকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে অপেক্ষা এবং উদ্বেগে আছেন। ভর্তিকৃত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছেন ক্যাম্পাসলাইভের সাথে। তারা জানিয়েছেন নতুন সেমিস্টারের ক্লাস অতিদ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। করোনার কারণে ইতোমধ্যে অনেক সেশন জটের তৈরী হয়ে গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পিছিয়ে পড়ার বড় একটি আশঙ্কাও তৈরী হয়েছে তাদের মধ্যে।
ঢাকা, ০৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএএম//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: