রাবি লাইভ: বাঙ্গালি জাতির অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ'। দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালিদের এ প্রাণের উৎসবটি। দিনটি বিভিন্ন কারণে বিশেষ দিন হয়ে উঠেছে। বাঙালিরা মুখিয়ে আছে বাংলা নতুন বছরকে (১৪২৯) বরণ করে নিতে।
এদিনটিকে ঘিরে বাঙ্গালিদের আয়োজনের কমতি থাকেনা। যুগযুগ ধরে বাঙালির ঐতিহ্যে ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে পালিত 'পহেলা বৈশাখ'। মঙ্গল শোভাযাত্রা, সকালে পান্তা, ইলিশ খাওয়া, শাড়ি আর পাঞ্জাবি ছাড়া যেন এদিনটিকে আর পালন করাই যায় না। সাথে লাল সবুজ আর সাদার মিশেলে হাতে, গালে ফুলকি আঁকা এখন হাল ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। এ সংস্কৃতিটা শহর থেকে গ্রাম সব খানেই প্রচলিত। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে সকল বাঙালি।
গত দুবছর করোনা মহামারী কারণে ছোট্ট পরিসরে আয়েজন করা হলেও এবছর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক। অন্যন্য বছরের ন্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হবে এবারের বৈশাখ। তবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।
এ বছর পবিত্র মাহে রমজান এবং বাংলা নববর্ষ একই মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বরাবরের মতো এ বছরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালিত হতে যাচ্ছে। তবে অনুষ্ঠানেও এসেছে পরিবর্তন। পহেলা বৈশাখ পালনে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রফেসর প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান,পবিত্র রমজান মাসের ধর্মীয় নিয়ম-কানুন প্রতিপালনের স্বার্থে বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলা নববর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করাসহ বহিরাগতদের বিকেল ৫টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা, ০৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ/এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: