নাটোর লাইভ : মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক। বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষার্থীরা অতিযত্নে তাদের হাতেই সামাজিকভাবে বেড়ে ওঠেন। কিন্তু কতিপয় শিক্ষকের লালসায় পড়ে অনেক ছাত্রীকে প্রায়ই নিগৃহিত হতে হচ্ছে। এবার নাটোরের গুরুদাসপুরে ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিবাড়ীতে মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার হয়েছেন ছাত্রীরা। কারণে অকারণে তিনি ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। মোবাইলে ছাত্রীদের আপত্তিকর ছবি দেখান। এমনকি তিনি প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালিন আচরণ করেন। এ অবস্থায় এক ছাত্রীতো মুখ ফুটে বলেই ফেলেছেন আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেল তবুও স্কুলে পাঠিও না। ওই ছাত্রীর পাশাপাশি স্কুলের অন্যরাও এবার প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন।
শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে বই-খাতা হাতে নিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুল আজম মুন্টুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শহিদুল আজম মুন্টু পড়ানোর ছলে ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। তিনি ছাত্রীদের মোবাইলে বাজে ছবি দেখান। প্রাইভেট পড়ানোর সময়েও ওই শিক্ষক ছাত্রীদের সাথে একই ধরণের আচরন করেন। এমন ঘটনায় ছাত্রীরা বেশ কয়েকবার ওই শিক্ষকের অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষকের আচরণ পরিবর্তন না হওয়ায় বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, তার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে বলেছে ‘ওই স্কুলে পড়ানোর থেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলো’। অন্য কয়েকজন ছাত্রীর অভিভাবক জানান, এসএম শহিদুল আজম মন্টু দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও একাধিকবার তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক এসএম শহিদুল আজম মন্টু বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা। তাকে হেয় করতেই প্রতিপক্ষের লোকজন এমন অভিযোগ করেছেন মাত্র।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ দুলাল প্রামাণিক বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানার পর মৌখিকভাবে কয়েকদিন আগে শিক্ষা অফিসারকে তিনি অবগত করেছন।
এব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা, ২২ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: