রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির আখ্যা দিয়ে মধ্যরাতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রথম ব্লকের ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মারধরের শিকার রাশেদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত নাহিদ হাসান জয় কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুলবুল মাহমুদ একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর রুমে অবস্থান করছিলেন রাশেদ। এসময় অভিযুক্তরা তার রুমে আসেন। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন হওয়া নিয়ে রাশেদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা রাশেদকে কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করা শুরু করেন।
মারধরের একপর্যায়ে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। অভিযুক্তরা এসময় হবিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা মমিনুল ইসলামকে ‘হলে শিবির ধরা পড়েছে, আপনারা আসেন’ বলে ফোনে ডেকে নেন।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মাহমুদ জানান, এটা আমাদের বিভাগের বিষয় নিয়ে একটা ঝামেলা। এটা নিউজ করার মতো কিছুই না। আমি মারিনি, এখানে মারামারির কিছুই হয়নি। নাহিদ আর রাশেদের মধ্যে ঝামেলা। আমি রাশেদকে ধরে ছিলাম আর নাহিদকে আমার আরেক বন্ধু ধরে ছিল। এটা আমাদের বিভাগের বড়ভাইদের মাধ্যমে মিটমাট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, জানতে পেরেছি ঘটনাটি একই ব্যাচের বন্ধুরা মিলে ঘটিয়েছে। আমি জানতে পেরে খোঁজ খবর নিয়েছি। সকালেই হল সুপারকে বলেছি এটা নিয়ে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কথা বলতে। তাছাড়া আমি শুনেছি এটা তাদের মাঝে মিমাংসা হয়ে গেছে। ঘটনাটি অনেকে অ্য দিকে মোড় ঘুরাতে চেয়েছিল, কিন্তু এটা ত বন্ধুদের মাঝে মারামারি ঘটনা, তেমন বড় ধরনের কিছু হয়নি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, এ ঘটনায় কিছু বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর কোন সমস্যা হলে হল প্রভোস্ট দেখে থাকেন, আর প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করেন। কিন্তু এ ঘটনায় হল প্রশাসন থেকে কোন তথ্য জানায়নি তাছাড়া মারধরের শিকার হয়েছে এমন কেও অভিযোগ দেয়নি। তাই আমরা কোন স্টেপ নিতে পারছি না। যদি অভিযোগ দেয় তবে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।'
অন্য অভিযুক্ত নাহিদ হাসান জয় বলেন, এটা আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একটু খুনসুটি হয়েছে আরকি। মারধরের ঘটনা ঘটেনি। রান্নাবান্নার আয়োজন নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। আগামীকাল খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: