Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবির আবাসিক হলে দুই ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বার ২০২১, ২১:০৩

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সামি এম সাজিদ ও তার বন্ধু সাদেক হোসেনকে আবাসিক হলের ছাদে ডেকে নিয়ে রাতভর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাজিদ বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থা একটু ভালো হলে পরবর্তীতে তাকে জুবেরী ভবনে স্থানান্তর করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা একটু ভালো।

জানা গেছে, নাট্যকলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী চয়ন সরকার তপু, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান রুবেল, জাবির ইবনে হোসাইন ও মোরশেদ সাকিব এবং গোলাম কিবরিয়াসহ সংগীত ও ইংরেজী বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ঘটনায় জড়িত ছিলো।

ভুক্তভোগীর সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় শামসুজ্জোহা হলের ছাদে সাজিদ এবং সাদেককে রাতভর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এরপর সাজিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঔষধ খাওয়ানো হয়।

পরবর্তীতে পুনরায় তাকে নির্যাতন করা হয় সেই সাথে রাতভর ছাদে আটকিয়ে রাখা হয় ঠান্ডা আবহাওয়ায় এবং শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। পরে ভোর ৪টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সাজিদের অবস্থা বেশি খারাপ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ পরিস্থিতি একটু ভাল হলে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এনে রাখা হয়।

ভুক্তভোগীর বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইকে জানান, সাজিদ ভীষণ প্রাণোচ্ছ্বল ও হাসিখুশি স্বভাবের হওয়ায় অনেকে তাকে পছন্দ করত। সাজিদের প্রতি বিভাগের বড়ভাইয়েরা ঈর্ষাকাতর হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া র‍্যাগিংয়ের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘গতরাতে জোহা হলের ছাদে বিভাগের বড়ভাই ও প্রথম বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন ছিলেন। সাজিদকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।’

ন্যাট্যকলা বিভাগের এক শিক্ষক ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'ওর মানসিক ও শারীরিক অবস্থা এখন একটু ভালো। জুবেরী ভবনে রাখা হয়েছে। সেখানে মেডিসিন দেয়া হচ্ছে।'

নাট্যকলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি বিভাগের বেশকিছু সিনিয়র শিক্ষার্থী সাজিদকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করেছে। মানিসকভাবেও তাকে বেশ হ্যারেজ করা হয়েছে। তবে যারা করেছে তাদের সবার নাম আমাদের হাতে এখনো আসেনি। বিষয়টি পুরোপুরি জানার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর জুলকারনাইন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আমি এ বিষয়টি জানিনা। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছি।'

এ বিষয়টি বিভাগের ওপর ছেড়ে দিয়ে প্রক্টর প্রফেসর লিয়াকত আলী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘এ নির্যাতনের ঘটনাটি বিভাগের চেয়ারম্যান অবগত রয়েছেন। আমরাও তার কাছে গিয়েছিলাম। তার বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও এসেছিলেন। বিষয়টি তারাই দেখছে।'

শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বা র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে ক্যাম্পাসলাইভকে তিনি বলেন,' এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো কি না মনে নেই। একটা ফাইলে সে বিষয়ে তথ্য থাকতে পারে। ফাইলে এটা খুঁজে দেখতে হবে। যদি এরকম কোন নিয়ম থাকে তবে আমরা সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পাশাপাশি হল এবং ডিপার্টমেন্টগুলোতে এরকম ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা সচেতনতা ব্যবস্থা নিবো।'

ঢাকা, ০৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ