উমর ফারুক, রাবি থেকে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ১ম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে করোনা অতিমারীর কারণে হল-ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে থাকা নিয়ে চিন্তিত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু ও ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আবাসিক হল না খুললেও পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতরেই থাকার ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাস লাইভকে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর এম তারেক নুর। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি জিমনেসিয়াম আছে সেখানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ছাত্র উপদেষ্টা আরও জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শহরের হোটেলগুলো যেন শিক্ষার্থীদের কাছে কম মূ্ল্যে সিট ভাড়া দেয় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া শহরের টেনিস কমপ্লেক্সসহ কিছু পাবলিক প্রোপার্টিতে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়টিও চিন্তা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগে আবাসিক হল খুলে দেয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
ভর্তি পরীক্ষা সময় হলে থাকার বিষয়ে কি ব্যবস্থা এমন প্রশ্নে ভিসি বলেন, 'ওরাতো আবেগের জায়গা থেকে বলবেই, এখন আমাদের যেসকল শিক্ষার্থী পড়ছে তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আমাদের খারাপ লাগছে যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সময় হল খুলতে পারছি না যে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে অন্য বারের চেয়ে এবারের সিচুয়েশনটা আলাদা। দেশ এখনো অস্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। করোনা অতিমারীর কারনে আমাদের সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে বসে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমরা এসব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তাই আমরা দ্রুত সময়ের মাঝে হল খুলতে পারছি না।'
ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের থাকা নিয়ে মেস মালিকদের সাথে বসে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ভিসি বলেন, 'গতকাল আমরা শহর এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন মেস মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছে। তবে এটা লিখিত চুক্তি না। আগামী শুক্রবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই মেয়র মহোদয় একটা সভা আয়োজন করবেন। সেখানে নিরাপত্তা সংস্থার সব প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।'
হল না খোলার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ভিসি আরো বলেন, 'আমরা ২৮ সেপ্টেম্বর আমরা বুঝতে পারব কত শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এখনো যে প্রস্তুতিগুলো আছে সম্পন্ন হয়নি। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।'
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: