রাজশাহী লাইভ: মালদ্বীপের মডেল কন্যা রাউধা আথিফের শেষ ঠিকানা হলো রাজশাহীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে কামিনীগাছের নিচে। শনিবার বাদ জোহর তাকে দাফন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দাফন কাজ সম্পন্ন করে। মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আথিফ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এসময় নিজ দেশ মালদ্বীপ থেকে ছুঁটে আসা বাবা মোহাম্মদ আতিফ, মা আমিনাথ মুহারমিমাথ ও দুই ভাইসহ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের রাওদার সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দাফনের সময় মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশাদ শান সাকির ও কমনওয়েলথের সেকেন্ড সেক্রেটারি ইসমাইল মুফিদও উপস্থিত ছিলেন। রওদাকে দাফনের সময় পরিবার ও সহপাঠীদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ।
এর আগে বিদেশী এই শিক্ষার্থীর দাফনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও মালদ্বীপ দূতাবাসের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।
তবে রাওদার মৃত্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি তার পরিবার। এমনকি সে দেশের দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তাও এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ জানায়, দুদিন ধরে চিন্তাভাবনার পর রাওদার বাবা-মা রাজশাহীতেই তাকে দাফনের সিদ্ধান্তের কথা পুলিশকে জানান। পরে তাদের উপস্থিতিতেই রাওদাকে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বোর্ড শনিবার বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।
ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের প্রধান ও রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. মনসুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তাতে রাওদা আত্মহত্যা করেছে। ঝুলেই সে আত্মহত্যা করেছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পাকস্থলীতে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কি না তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ভিসেরা রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তখন সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিবেদনও দেয়া হবে।
অপরদিকে রাওদার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা, ০১ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: