রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২২তম ভিসি প্রফেসর ড.মুহম্মদ মিজউদ্দিন ও ১২তম প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহানের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৯ মার্চ। ফলে দশ দিনেও শীর্ষ এই দুই পদের দায়িত্বে নতুন কেউ না আসায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
এদিকে গত ১৯ মার্চ রাত পর্যন্ত নতুন কোনো আদেশ না আসায় গত সোমবার সকাল ১০টায় স্ব-স্ব বিভাগে যোগদান করেছে প্রফেসর মুহম্মদ মিজউদ্দিন ও প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান। ফলে শুন্য হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও শীর্ষ এই পদ দুটি।
অবিভাবকহীন অবস্থায় থাকায় বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সংশ্লিষ্টারা বলছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদ দুটিতে নতুন কেউ আসার সম্ভাবনা নেই। তবে কবে নাগাত এ অভিভাবকহীন থাকবে তার সঠিক কেউ ধারনা দিতে পারছেন না। তবে এবারে প্রো-ভিসির পদে দেখা যেতে পারে দুইজনকে। যাদের একজন প্রশাসনিক অন্যজন একাডেমিক দায়িত্বে থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারিরা ক্যাম্পাসলাইভকে বলছেন, প্রশাসনের শীর্ষ এই দুই পদে শূন্যতার ফলে প্রশাসনিক কর্মকান্ডের ব্যাঘাতসহ কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কীভাবে তা মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে নানা শঙ্কায় পড়েছেন তারা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসের ভিতর বহিরাগতদের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তারা। এমনতাস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিভাবকহীন চলার অভিজ্ঞতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২১তম ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহান ও ১১তম প্রো-ভিসি প্রফেসর নুরুল্লা হকের মেয়াদ ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার পর মোট ২৩ দিন ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়। ওই ২৩ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক দায়িত্ব কে পালন করেছে তার সঠিক হিসেব এখন পর্যন্ত নেই বলে জানা গেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর থেকে জানা গেছে, ভিসি ও প্রো-ভিসি না থাকায় ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিভিন্ন কাজের জন্য আর্থিক অনুমোদন, সিন্ডিকেট সভা, শিক্ষকদের বিদেশ গমন, শিক্ষাছুটি অনুমোদন, প্রমোশন আবেদনপত্রে স্বাক্ষরসহ প্রশাসনিক কাজগুলো ভিসি ছাড়া অন্য কেউ করতে পারেন না। তবে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নোটিশ অনুসারে এসব কাজ কোষাধ্যক্ষকে করতে হয়। কিন্তু শিক্ষান্ত্রনালয় থেকে এমন কোনো নোটিশ আসনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এন্তাজুল হক।
ঢাকা, ৩০ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: