Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবি ভিসির মেয়াদ শেষ ২০ মার্চ

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৭, ২১:৫০


রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বর্তমান ভিসিসহ প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসের ২০ তারিখে।  এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে পরবর্তী সময়ের জন্য দায়িত্ব দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, প্রো-ভিসি চৌধুরী সারওয়ার জাহান দায়িত্ব নেয় ২০১২ সালের ২০ মার্চ। তাদের মেয়াদ শেষ চলতি মাসের ২০ তারিখে। এরপর পরবর্তী চার বছরের জন্য নতুন এ প্রশাসনের রদবদল হতে পারে।
তবে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, পুনরায় বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কেননা বিভিন্ন মহল মনে করছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণাসহ নানা বিষয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এই প্রশাসন খুবই সফলতা দেখিয়েছে। এই প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক থেকে শুরু করে সব নিয়োগে অনেকাংশে স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে।
তবে ইতোমধ্যে প্রশাসনে দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন শিক্ষকরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণার মান, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এবং দলীয় যোগ্যতায় যারা বেশি এগিয়ে থাকবেন সর্বশেষ হয়তো তিনিই পাবেন এই বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ও প্রো-ভিসির পদটি। এর বাইরেও একাধিক শিক্ষক ওই পদগুলোতে দায়িত্ব পেতে পারেন বলেও ধারণা সূত্রগুলোর।
জানা গেছে, এরই মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত্য ৯ জন প্রফেসর ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদে পরবর্তী প্রশাসনে দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। এই শিক্ষকরা এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক (২০০৯-১২) ভিসি প্রফেসর এম আবদুস সোবহান নতুন করে আবারও সেই পদটি নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে তিনি ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে বিজ্ঞাপিত পদের বিপরীতে একাধিক নিয়োগ দিয়েছিলেন। নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে এই ভিসিকে আদালতের কাঠগড়াতেও দাঁড়াতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু, টিএসসিসিসহ বিভিন্ন স্থায়ী তহবিলের কোটি কোটি টাকা শেষ করেছিলেন আবদুস সোবহান। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই তহবিলের অর্থ পরিশোধ করেন। দায়িত্ব শেষ করে ভিসির বাসভবন থেকে চলে যাওয়ার সময় সোবহান ওই বাসভবনের অনেক আসবাবপত্র নিয়ে যান। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
এছাড়াও প্রশাসনের এই পদে আসতে যেসব শিক্ষকরা যোগাযোগ করছেন তাদরে মধ্যে হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম। তিনি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর রকীব আহমেদ প্রশানের সর্বোচ্চ পদটি পেতে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন। তবে বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হেকেপ প্রজেক্ট শেষ হলে তিনি কয়েক লাখ টাকার হিসেব দিতে পারেননি বলে অভিযোগ আছে।
ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মুশফিক আহমেদ।  প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা চেষ্টা করছেন পরবর্তী প্রশাসনে আসতে।
এছাড়াও ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, ফলিত-রসায়ন ও রসায়ন প্রকৗশল বিভাগের প্রফেসর মো. রোস্তম আলী, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনব কুমার পান্ডে আগামী প্রশাসনে দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সামনের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসার জন্য শিক্ষকরা নানা ভাবে যোগাযোগ কররা চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু যোগাযোগ রক্ষা করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ দেবেন। তবে আমাদের বিশ্বাস যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে চ্যান্সেলর তাদেরকেই এই পদে বসাবেন বলে ধারনা করছি।

 

ঢাকা, ১৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ