রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তনের সময়সূচী নির্ধারন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকভাবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ মিজান উদ্দিন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দশম সমাবর্তন করার বিষয়ে সদয় অনুমতি দিয়েছেন। তার অনুমতিক্রমে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন আয়োজন করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে ২৪ ডিসেম্বর শনিবারের আগের ও পরের দিন সরকারি ছুটি থাকায় ওই দিনই সমাবর্তন হওয়ার বিষয়ে আশা করছেন তিনি।
আগামী ২৪-২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরেই সমাবর্তন উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি গঠিত হলেই দশম সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে, এবারের সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এটাই হবে এই প্রশাসনে শেষ সমাবর্তন।
আগামী বছরের ২৩ মার্চ বর্তমান প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব শেষ হবে। এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি বর্তমান প্রশাসনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারীরা অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে রাবির সমাবর্তন নিয়মিত হতো না। তাই নিয়মিত ডিগ্রী অর্জনকারীরা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারতেন না। তবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর দশম সমাবর্তন হলে নিয়মিত ডিগ্রী অর্জনকারীরা পরবর্তী সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেবন।
১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে। এরপর ১৯৬০, '৬১, '৬২, '৬৫, '৭০, ৯৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম সমাবর্তন। এর প্রায় ১৪ বছর পর গত প্রশাসন ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর অষ্টম সমাবর্তন আয়োজন করেন।
তবে ওই সমাবর্তনে নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদেরকে দেয়া সামবর্তন পোশাকে (গাউন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকসহ স্টিকার পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিন অংশগ্রহনকারীরা।
দশম সমাবর্তন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুহম্মদ এন্তাজুল হক বলেন, ‘চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাক্ষাৎ করলে তাকে সমাবর্তন আয়োজন করার বিষয়ে অনুমতি দেন।
তবে এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ সমাবর্তনে মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: