Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

আবরার মরেছে, নির্যাতন বন্ধ হয়নি : এবার রাবির গেস্টরুমে নির্মমতা!

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবার ২০১৯, ২২:০৯

রাজশাহী লাইভ : বুয়েটে আবরার হত্যার পরও থেমে নেই ছাত্রলীগের নির্যাতন কালচার। পরিচয়ের ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে কতিপয় নেতাকর্মীর বাড়াবাড়ি চলছেই। এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের নামে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ করায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের চোখে আঘাত করা হয়েছে। পরে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ওই শিক্ষার্থী সাদিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বাংলা বিভাগের মাসুম শিকদার সাদিককে মারধর করেন। উভয়ের বাসা টাঙ্গাইল জেলায় এবং ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন সাদিক। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে গেলে আরিফ আলাদা হয়ে পড়েন। সেই সময়েই মাসুম শিকদারের সঙ্গে দেখা হয় তার। প্রথমে তার পরিচয় জানতে চান। টাঙ্গাইল পরিচয় দেয়ার পর তাকে নানাভাবে প্রশ্ন শুরু করেন মাসুম শিকদার। পরে হলের গেস্টরুমে নিয়ে টাঙ্গাইলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে চেনে কিনা এটা জানতে চান।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে চিনেন না বলে জানালে তুই-তোকারি করে আলাপ শুরু করেন মাসুম। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাদিক।

সাদিকের ভাষ্য, আরিফকে র‌্যাগ দেয়া হচ্ছে কিনা মাসুমের কাছে এমনটি জানতে চেয়েছিলেন তিনি এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র‌্যাগ দেয়া উচিত নয় এমন বলতেই তাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। হাতে চাবির রিং দিয়ে আঘাতের একপর্যায়ে চোখের কোণ ফেটে যায় সাদিকের। রক্তাক্ত করা হয় তাকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাসুমের শাস্তির দাবি করেন তিনি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আহত সাদিককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে আসেন সহপাঠীরা। সেখানে দুটি সেলাই দেয়া হয়।

তবে মাসুম শিকদার বলেন, সাদিক আমার খুব কাছের বন্ধু। আমরা মজা করি সবসময়। ওর সঙ্গে কিলঘুষি এমন নিত্যদিন চলে। তবে আজকে একটু বেশি চরমে চলে গেছে। ওর চোখের কোণ কেটে যায়। পরে আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি।

উল্লেখ্য, বুয়েটে কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতার হাতে নিহত হন আবরার। ওই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। র‌্যাগিং ও বিরোধীমত দমনসহ নানা কারণে হলে হলে গড়ে ওঠা টর্চার সেল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ছাত্রলীগ। এ অবস্থায় রাবিতে আবারও গেস্টরুমে ডেকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলো।

ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ