Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাবি ক্যাম্পাসে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে প্রাণবন্ত ইফতার

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯, ০৭:০৭

রাবি লাইভ: বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে রমযানে পরিবারের সাথে ইফতারের অভিজ্ঞতা ছিল অন্য রকম তখন মা ইফতার বানাতেন। পরিবারের সবাই একসাথে ইফতার করতাম। কিন্তু এখন হলে বন্ধুদের সাথে ইফতার করার অনুভূতিটাই আলাদা। ইফতার করাটা শুধু খাওয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, তাদের সাথে সম্পর্কও গভীর হয়। বন্ধুদের সাথে ইফতার করলে পরিবার থেকে দূরে থাকার কথা আর মনে থাকে না।’

এ কথাই বলছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিরান শাহ মুন্না। শুধু মুন্না নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ইফতার নিয়ে অনুভূতি এমনই। শুধু রমযান মাস নই, যাদের বছরের অধিকাংশ সময়ই কাটে পরিবার থেকে দূরে। রমজান শুরুর পর মতিহারের সবুজ চত্বর পরিণত হয়ে প্রাণের মিলনমেলায়।

সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করে তখন জমে উঠে বন্ধুদের সাথে ইফতার আড্ডা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া, ইবলিশ চত্বর, পরিবহন মার্কেট, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, টিএসসিসির সবুজ চত্বর, হবিবুর হলের মাঠ, মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের সামনের চত্বরসহ ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি স্থানে শিক্ষার্থীরা ইফতার করার জন্য সমবেত হন। সবাই গোল হয়ে বসে মেতে উঠেন ইফতারের আনন্দে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও ইফতার পার্টি করে থাকে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হতদরিদ্র ও পথশিশুদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আশিকুজ্জাম। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও টিউশন থাকায় বাড়িতে যেতে পারছি না। পরিবার ছাড়া ইফতার করায় কিছুটা খারাপ লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু বন্ধুদের সাথে ইফতার করার কারণে কিছুটা হলেও ভালো লাগে। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে ইফতারের আগের সময়টুকু। সবাই মিলে ইফতার কিনতে যাওয়া, শরবত বানানো, প্রস্তুত করা এসব খুবই আনন্দদায়ক।’

কারো কারো এবার ক্যাম্পাসে শেষ ইফতার। স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে বন্ধুদের সাথে কাটানো এতদিনের মধুর সময়গুলো। উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মোড়ল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। মাস্টার্সের পরীক্ষাও শেষ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাব। হলে হৈ-হুলোড় করে সবার সাথে আর ইফতার করা হবে না। এ সময়টুকু খুব মিস করব।’

সরেজমিনে দেখা যায়, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর, স্টেশন বাজার ও কাজলায় ইফতারের অস্থায়ী দোকান বসেছে। সেখানে হরেক রকমের ইফতার বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেঁয়াজুসহ বিভিন্ন রকমের ইফতার।


ঢাকা, ৩০ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ