পাবনা লাইভ : হাওর অঞ্চলসহ গ্রামের মেয়েদের অনেকেই বাইসাইকেল চালিয়ে ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যেতে দেখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশী মেয়েদের হয়তো কেউ মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে যেতে দেখেননি। বিশেষ করে গ্রামের মেয়েদের।
কিন্তু পাবনার বেড়া উপজেলায় এ চিত্র ব্যতিক্রম। কাশীনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী মোটরসাইকেলে করে কলেজে যান। মোটরসাইকেল চালিয়ে দূরপথ পারি দিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করেন তারা।
গ্রামের কিছু মানুষ এতে অল্পস্বল্প নেতিবাচক মন্তব্য করলেও অধিকাংশ মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এটিকে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ বলছেন।
যমুনা নদী তীরবর্তী বেড়ার ৭টি ইউনিয়নসহ পদ্মা নদী তীরবর্তী সুজানগরের কয়েকটি ইউনিয়নের মেয়েদের জন্য বাণিজ্য কেন্দ্র কাশিনাথপুরে মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে।
১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ কলেজে আসা-যাওয়া করে। এতে সময় এবং অর্থ-দুটি বাধা অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীকে পেরুতে হয়।
চলতি বছরের প্রথম থেকে কয়েক ছাত্রী মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসা-যাওয়া শুরু করে। এতে গ্রামের এবং কলেজ এলাকাসহ পথে অনেকেই টিপ্পনী কাটা শুরু করে। কিন্তু এসব মেয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং ব্যক্তিত্বের কাছে হার মানে ওইসব টিপ্পনী আর নেতিবাচক মন্তব্যকারীরা।
ওই কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফিয়া আক্তার মিম ও বেবী নাজনীন জানান, তারা সমাজের কুসংস্কার মাড়িয়ে ১০-১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে প্রতিদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসেন। এখন আর কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। তাদের দেখাদেখি আরও অনেকেই এখন মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসা-যাওয়া করে।
বেবী নাজনীন বলে, ‘আমি প্রতিদিন ১০ কিলোমিটার দূর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে যাতায়াত করি। এতে করে অনেক সময় বেঁচে যায়। আগে যখন গাড়িতে যাতায়াত করতাম, তখন সময়মতো গাড়ি না পাওয়ার কারণে অনেক সময় ব্যয় হতো। পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটত।
ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: