বগুড়া লাইভ: নাইম ইসলাম (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। নাইমের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। চলছে আহাজারি।
এই খুনের ঘটনায় সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে উপজেলা শহরের কালী মন্দিরের দক্ষিণ পাশ থেকে নাইমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাইম বগুড়ার বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলার গাবতলী উপজেলার মরিয়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) তাপস কুমার পাল ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে চার সহপাঠী নাইমকে ফোনে ডেকে নেন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে শুক্রবার ভোরে সারিয়াকান্দি শহরের কালী মন্দিরের দক্ষিণ পাশ থেকে বিকৃত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলায় চেনা যাচ্ছিল না। পরে নাইমের মা ছেলের পায়ের বিশেষ চিহ্ন দেখে লাশ শনাক্ত করেন বলে তাপস কুমার জানান। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে নাইমের মায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে থানার ফটকের সামনে থেকে নাইমের তিন সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সম্ভবত নাইমকে হত্যার পর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশে ওই তিনজন থানায় একটি জিডি করতে এসেছিলেন বলে জানান সারিয়াকান্দি থানার এসআই খায়ের উদ্দিন। সে সময় তাদের জিডি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
আটক তিনজন হলেন- গাবতলীর গুলারতাইড় গ্রামের মনির (২০), ধুনটের চিকাশী গ্রামের অন্তর (২০) ও সারিয়াকান্দির সোনাপুর গ্রামের বাবু (২০)। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম অনন্ত শ্রাবণ বিশু নামে আরো একজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় সাব্বির নামে তাঁদের আরো এক বন্ধু জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে দাবি করেছে পুলিশ। তাঁরা সবাই বিটের শিক্ষার্থী।
এই হত্যাকান্ডের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে এ প্রসঙ্গে নিহত নাইমের মা বলেন, কয়েকদিন আগে পরিবার থেকে ছেলেকে তাঁরা একটি টিভিএস অ্যাপাচি মোটরসাইকেল কিনে দেন।
বৃহস্পতিবার সেটি নিয়েই বাড়ি থেকে বের হন নাইম। এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেলটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোটরসাইকেলের জন্যই বন্ধুরা নাইমকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তাঁর মা।
এ ব্যাপারে একটি হত্যাকাণ্ড মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
ঢাকা, ১৭ নভম্বের (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: