রাবি লাইভ: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরিতে প্রতিবন্ধীদের কোটা বহালের দাবিতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই অবরোধের সুযোগ নিয়ে গাড়ির তেল বাচাচ্ছে। তারা আরো বলেন, মাত্র ৪ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগীতায় মেইন গেট বন্ধ কররে দিচ্ছে প্রতিদিন। মেইন গেট বন্ধ থাকলেও বিনোদপুর এবং কাজলা গেট কিন্তু খোলা থাকে তারপরেও বাস চালানোর কোন সিধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করনে আন্দোলনকারীদের সারাদিন কোন খবর নাই দুপুর একটা বাজলেই মেইন গেট অবরোধ করে পুলিশের সহযোগীতায় অবরোধ করে আর দুইটা বাজলেই আন্দোলন ছেড়ে চলে যায়। তারা আন্দোলন করবে ঠিক আছে সকাল থেকে করুক কিন্তু দুপুরে একমাত্র বাসের সিডিউল সেটা বন্ধ করার জন্য এভাবে আন্দোলন করা কতটা যুক্তিক।
বাস বন্ধ রাখার বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক এফএম আলী হায়দার বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি বাস চালানোর কিন্তু কি করবো বলেন। গাড়ি ভাংচুর করলে এর দায়ভার কে নেবে। তিন চার জন মিলে আন্দোলন করছে ঠিক আছে এর আগে একটি আন্দোলনে তিন জন মিলে একটি বাস ভাংচুর করেছে।
সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা কোটার দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করেন।
সড়ক অবরোধের সময় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের রাবি শাখার যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রাবি শাখার আহবায়ক হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা প্রেরণা, এটা সাংবিধানিক অধিকার। সমাজের এই শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে হবে। অবরোধে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক রুবেল, সুজন আহমেদ ও সদস্য রাসেল মিয়া, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা, ০৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: