Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

লিটনের নির্বাচনী পোস্টারে ভরে গেছে রাবি ক্যাম্পাস

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০৭

রাবি লাইভ: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচারণা ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ভরে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি রাস্তা, হলের আশে পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে লাগানো হয়েছে এ ব্যানার ও পোস্টারগুলো। বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারারের দফতর এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ‘দৃষ্টিকটু’ বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালে গানের তালে তালে মাইকিং করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে ক্লাস-পরীক্ষায় সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। যদিও ২০১০ সাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ও মাইকিং নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবনের সমানে, টুকিটাকি চত্বর, মিডিয়া চত্বর, রবীন্দ্র কলা ভবনের সামনে, ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনের রাস্তায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলায়, প্রথম ও দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে।

এছাড়া ভিসি ও ট্রেজারার কার্যালয়েও লিটনের পোস্টার দেখা গেছে। এছাড়া কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আলাউদ্দীন ও শহীদুল ইসলাম পিন্টুর পোস্টারও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এভাবে রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরাও নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিষয়টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যাল একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটা কোন নির্বাচনী মাঠ নয়। তুবও আমরা এখানে নিয়মিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখতে পাচ্ছি।

ক্যাম্পাসের ভেতরে যখন মাইকিং করে ভোট চাওয়া হয় তখন আমাদের আমাদের ক্লাস-পরীক্ষার অনেক সমস্যা হয়। শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার সমস্যা হলেও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ইংরেজী বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো হবে এটি বেমানান মনে হচ্ছে। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বলবো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এসব প্রচারণা মোটেও কাম্য নয়।

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ক্লাস-পরীক্ষার ক্ষতি হয় এমন প্রচার-প্রচারণা চালানো ঠিক না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যেতে পারে কিন্তু যদি কেউ পক্ষপাতমূলকভাবে কোন পোস্টার অফিসের মধ্যে নিয়ে লাগায় তাহলে এটি ঠিক নয়।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ‘যেসব পোস্টার লাগানো হয়েছে সেগুলো এখন নামিয়ে ফেললে খারাপ দেখা যায়। তাই নতুন করে পোস্টার ও মাইকিং না করার জন্য আমি ছাত্রলীগকে নিষেধ করেছি।’

 


ঢাকা, ১৮ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ