চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাইভ : ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডকে অাত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম নুসরাত জাহান। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। চার মাস যেতে না যেতেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে একপর্যায়ে তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তার বাবার বাড়িতে জানানো হয় নুসরাত আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি নুসরাতের বাবার পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস হয়নি। তারা এবিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। জানান নুসরাতকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে। পরে পুলিশ নুসরাতের স্বামী সায়েমকে গ্রেফতার করে।
এদিকে নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন তার সহপাঠীরা। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার কারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। ভোলাহাট উপজেলা পরিষ চত্বরের সামনে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জামসেদ আলী, ভোলাহাট উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাতিন, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউল্লাহ সিফাত, শিক্ষার্থী ছায়া বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর বাবুরঘোন গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নুসরাতের সঙ্গে ভোলাহাট উপজেলার হোসেন ভিটা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে সায়েম বিশ্বাসের ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে নববধূর উপর নানাবিধ পাশবিক র্নিযাতন ও অত্যাচার করে আসছিল। সর্বশেষ বুধবার নুসরাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। খবর পেয়ে ভোলাহাট থানার ওসি ফাছিরউদ্দিন নুসরাতের স্বামী সায়েমকে গ্রেফতার করে।
ঢাকা, ০৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: