রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম আবাসিক হলের এক কর্মচারীর চাকরিচ্যুত করা হয় প্রায় দুই বছর আগে। সেই চাকরিচ্যুত ব্যাক্তির নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভূক্তভোগী চাকরিচ্যুত বিপ্লব জানান, দুই বছর আগে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর আগে ভুক্তভোগী কর্মচারী বিপ্লবকে টাকা নিতে আসার জন্য হামিদ নামের এক নিরাপত্তা কর্মচারীকে দিয়ে গত রমজান মাসে ডেকে পাঠান ওই হল প্রাধ্যক্ষ। এছাড়া কিছু স্বাক্ষর দিয়ে প্রাধ্যক্ষ এর সাথে চুক্তি করতে অনুরোধ করেন বলে জানান ভুক্তভোগী।
এবিষয়ে তিরি আরো বলেন, এর আগে একবার স্যারের কাছে যাওয়ার পর স্যার আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিলেন। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে চাকুরিচ্যুত করেন। কিন্তু চাকুরিচ্যুতের সেই নোটিশ আজ পর্যন্ত তার বাড়িতে পৌছায় নি।
এদিকে এঘটনা কিছু সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ওই হলের প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চাকরিচ্যুত কর্মচারী বিপ্লবকে টাকা নিতে চাপ প্রয়োগ করে বলে জানা গেছে।
যার ফলে এঘটানার সত্যতা যাচাই এবং মূলঘটনা জানার জন্য প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮০তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহাকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন সিন্ডিকেট সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, হাবিবুর রহমান।
এবিষয়ে জনাতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এখনও তদন্ত শুরু হয়নি। মাত্র কাগজ হাতে পেয়েছি। তবে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না। শাহ মখদুম হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাই তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ঢাকা, ২৭ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: