রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস বন্ধ হয়েছে ১৭ মে। তারপরও অনেকে শিক্ষার্থীই পড়াশোনা, টিউশনি, এ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি কাজে ক্যাম্পাসে রয়ে গেছেন। রোযা শুরুর আগেই প্রায় সবকটি হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে গেছে।
এমন অবস্থায় বাজারে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে হলে থাকা শিক্ষার্থীরা। রমযানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান রাবি শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় হোটেলের নিম্নমানের খাবার খেয়ে রোযা ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে উভয়সংকটে পড়েছে রাবি শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রমজানের আগে যে আলু ১০টাকা ছিল সে আলু এখন ২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা।
বুধবার ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকায় যা রোযার আগে দাম ছিল ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল বিক্রয় হচ্ছে ৮৮ টাকায় যা আগে ছিল ৮২ টাকা। সবজির বাজারও ছিল চড়া। বেগুন ৫০টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
নাট্যকলার মাস্টার্সের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল সমাপ্তী বলেন, ‘শুধুমাত্র রমজান আসায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা।’
সবজি বিক্রেতা রাসেল জানান, ‘রমযানের শুরুতেই পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেটা এখনও রয়ে গেছে। বর্ধিত মূল্যের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এসবে আমাদের হাত নেই। উপরমহলের লোক সব জানে।’
ঢাকা, ২৩ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: