চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাইভ : শিবগঞ্জে শয়নকক্ষ থেকে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশের কক্ষেই ওই ছাত্রীর মা ও বোনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম শ্যামলী খাতুন (১৫)। সে শিবগঞ্জের পারঘোড়াপাখিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শিবগঞ্জের ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামের প্রবাসী কবির আলীর মেয়ে সে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শ্যামলীর মা আলেয়া বেগম ও তার বড় বোন চম্পা খাতুনকে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম ও ছত্রাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, প্রতিদিনের মতো কবির হোসেনের স্ত্রী আলেয়া বেগম তার দুই মেয়ে চম্পা খাতুন ও শ্যামলী খাতুনকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যান। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাহ্রির সময় তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। এ সময় তারা ঘরের দরজা বাইর থেকে শিকল দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীরা আশপাশের আরও লোকজন নিয়ে এসে ওই ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা একটি কক্ষে আলেয়া বেগম ও বড় মেয়ে চম্পা খাতুনকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। আর অন্য কক্ষের বিছানায় শ্যামলী খাতুনকে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সোমবার সকালে শিবগঞ্জ থানার পুলিশ শ্যামলী খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িতে চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শ্যামলীকে হত্যা করা হয়েছে।
ঢাকা, ২২ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: