লাইভ প্রতিবেদক : হামিদা খাতুনের রংপুরের বদরগঞ্জে। তিনি চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮) একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। অর্থের অভাবে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাবা বর্গাচাষি ছিলেন। এইচএসসি পরীক্ষার দুদিন আগে মারা যান তিনি। শোক আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি হওয়ার টাকা নেই তার।
হামিদার (১৮) বাড়ি উপজেলার আরাজি দিলালপুর গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দিকে।
জানা গেছে, সাত ভাইবোনের মধ্যে হামিদা ষষ্ঠ। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দুদিন আগে মারা যান তার বাবা হবিবর রহমান। পরীক্ষাও খুব একটা ভালো দিতে পারেননি। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে পান জিপিএ-৪.৬৭। বাবার মৃত্যুর পর নয়জনের সংসারের খরচ চালানোই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের ও বড় বোনের টিউশনির টাকায় এত দিন পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন হামিদা।
হামিদা এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ২৪০তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটে ১৯তম, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটে ১৯তম ও ‘জি’ ইউনিটে ষষ্ঠ হয়েছেন। তবে তিনি ভর্তি হতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি হতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাগবে তিনি জেনেছেন। কিন্তু ভর্তির টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজের বিবেকবানদের দিকে। একটু সহানুভূতিই তাকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করে দিতে পারে।
[হামিদা খাতুনকে সহায়তা করার উপায়: ০১৭৮৭৯২৫৪৩২ (বিকাশ নম্বর)]
ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: