শাবি লাইভ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
১৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ২৪ ক্রেডিট সম্পন্ন করার দীর্ঘ সময় পরও কোনো পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় নতুন নীতিমালা অনুসারে তিনি আর কোন ধরনের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। সে অনুযায়ী তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হিসেবে গণ্য হবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে একই কারণে একই বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শিবলীর ছাত্রত্বও বাতিল হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৪৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন অসমাপ্ত কোর্সের নতুন নীতিমালা প্রণয়ণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী নির্ধারিত ৮ (আর্কিটেকচার বিভাগের জন্য ১০) সেমিস্টারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৪ সেমিস্টারে নিতে পারবে।
সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যে সেমিস্টারের পরীক্ষায় ৮০% কোর্স সম্পন্ন করেছে অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, এর ঠিক পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ৮০% যাদের কোর্স শেষ হবে তারা আরও ২ সেমিস্টার ভর্তির সুযোগ পাবে। এ শর্ত পূরণ না হলে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে।
ইমরান খানের একাডেমিক ফলাফলে ৮০ শতাংশ এর জায়গায় মোট ক্রেডিটের মাত্র ১৭ শতাংশ সম্পন্ন করায় তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। অন্যদিকে মেহেদী হাসান শিবলীর ৫০% কোর্স সম্পন্ন করায় তারও ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে।
এ বিষয়ে ইমরান খান বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে আমি চার বছরেরও অধিক সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম, এখনও চিকিৎসা নিচ্ছি। সমস্ত মেডিকেল রিপোর্টসহ আমি পুনরায় ভর্তির আবেদন করব।
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: