শাবি লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও র্যাগিংয়ের নামে যৌন হয়রানিতে ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। একই বিভাগের এক ছাত্রীকে র্যাগিং, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে ওই ছাত্রী একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন, রিয়াদ, আদনান এবং হাফিজ। তারা বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী বুধবার প্রক্টর বরারব লিখিত অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, পড়ালেখার সহযোগিতার কথা বলে রিয়াদ, আদনান ও হাফিজ ১১ জুলাই তাকে শহীদ মিনারের নিচে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। পরে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আলাপ করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। অনবরত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে।
ওই ছাত্রী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গত সোমবার তার ব্যাচের সবার সঙ্গে আলোচনার নামে টার্গেট করে তারা তাকে হেয়প্রতিপন্ন করে। যার ফলে এক পর্যায়ে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে বন্ধুরা তাকে জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রিয়াদ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এটি সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাফিজও। তবে আদনানের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর এ কে এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। এবিষটি খতিয়ে তেখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর শাবিতে গণিত বিভাগের এক ছাত্রীও র্যাগিংয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। ওই ঘটনা নিয়ে শাবি তথা দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।
ঢাকা, ১৯ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: