লাইভ প্রতিবেদক: বিদেশে গিয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পাচ্ছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সরকারি অর্থে চলতি বছর থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এ কার্যক্রম। এমনটাই জানিয়েছে ইউজিসি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য শর্ত ছাড়া বিদেশে পিএইচডি কোর্স করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সরকারি অর্থায়নে স্কলারশিপের মাধ্যমে তিন বছর মেয়াদী এ কোর্সের সুযোগ দেওয়া হবে।
ইউজিসির ওই নীতিমালায় দেখা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে এই সুযোগ দেওয়া হবে। প্রভাষক থেকে সহযোগী অধ্যাপক (যাদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে) তারা আবেদন করতে পারবেন।
ইউজিসি এ নীতিমালার নাম দিয়েছে- ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি বৈদেশিক পিএইচডি স্কলারশিপ।’
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৩০০তম অবস্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের ব্যয় বহন করা হবে ইউজিসি থেকে। স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষকদের চার বছরের মধ্যে ফিরে আসতে হবে দেশে।
নতুবা তার জন্য ব্যয় হওয়া সব অর্থ ফেরত দিতে হবে। কোর্স চলাকালীন সময় দেশে এসে ১৫ দিনের বেশি থাকলে জানাতে হবে ইউজিসিকে। ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, দেশে এই প্রথম শর্ত ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশে পিএইচডি অর্জনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইউজিসির সব সদস্যরা সভা করে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করেছেন। আরেকটি সভা করে এটি অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্কলারশিপ কার্যক্রম চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হবে।
প্রতি বছর ইউজিসি থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষকদের কাছে চাওয়া হবে আবেদন। তার ভিত্তিতে যোগ্যদের নির্বাচন করা হবে। এ বাবদ এরই মধ্যে সরকারি ১০ কোটি টাকা এসেছে। এ অর্থ ও স্কলারশিপের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়বে বলেও সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।
ঢাকা, ২২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: