জাককানইবি লাইভ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম সমাবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ১৪০০ শিক্ষার্থীদের ডিগ্রী সম্মাননা ও মূল সনদপত্র প্রদান করা হয় ।
কিন্তু মূল সনদপত্র পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অভিযোগ মূল সনদপত্র নিন্ম মানের পেপারে, নাম, সিজিপি ভুল সহ নানা ধরনের তথ্য অসঙ্গতি দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ রনি এক স্ট্যাটাস এ জানিয়েছেন, “মুল সার্টিফিকেট দেখে অবাক আর লজ্জিত না হয়ে পারলাম না। এটা কি সার্টিফিকেট নাকি নোটিস বোর্ডে নোটিস দিছে। লেখা দেখে মনে হয় আপনি পরীক্ষায় পাশ করছেন এটা লিখিত নোটিস দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিছে । সার্টিফিকেটে মিনিমাম কোয়ালিটিও রাখা হয় নাই। এই সার্টিফিকেট কোন ইন্টার্ভিউ তে দেখালে প্রশ্ন করতেই পারে, এই সার্টিফিকেট কোথায় থেকে বানিয়ে এনেছেন?”
আরেক শিক্ষার্থী সারমিন সামি স্ট্যাটাস দিয়েছেন “Public Administration and Governance Studies হয়ে গেছে Public Administration and Government Studies !!
সার্টিফিকেট ইস্যুতে "নির্লজ্জ" প্রশাসন এখনও চুপ কেন ?”
মতিউর জিসান অভিযোগ করেছেন “সার্টিফিকেটের লেখা উঠে যাচ্ছে, মাতা-পিতার নাম নেই, সেশন নেই, কোর্সের মেয়াদ নেই, রোল নাম্বার নেই, রেজি. নেই। নিচে লিখা প্রশাসন ভবন ত্রিশাল ময়মনসিংহ বাংলাদেশ। কোনো দাড়ি - কমা নেই, নামে ভুল না অন্য কারো সার্টিফিকেট আমাকে দিসে কিনা বুঝার উপায় নেই, কারন মাতা পিতার নাম মিলানো যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ ।
শিক্ষার্থী আফসানা মনি ও একই অভিযোগে বলেছেন “মূল সার্টিফিকেট এ নাম + সিজিপিএ দুইটাই ভুল। কেমনে সম্ভব????”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের দাবি “সমাবর্তনে প্রদত্ত মূল সার্টিফিকেেট প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘটতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা দাবি করছি” ।
নাজনীন লাকি স্ট্যাটাস এ বলেছেন “এত নিম্নমানের মূল সার্টিফিকেট আমি কোথাও দেখিনি। দেখিনি এমন তথ্য বিহীনও। যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছে” ।
শিক্ষার্থী আব্দুল মালেক জানিয়েছেন “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পত্রের চেয়ে ছয় মাসের কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্সের সনদ পত্রও মজবুত আছে”।
সাবেক শিক্ষার্থী সাগর দত্ত ক্ষোভ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন “আমার তো মনে হচ্ছে সাময়িক সনদপত্র টা জমা দিয়ে ভুল করলাম।আমার মূল সনদপত্রে সিজিপিএর যায়গা অস্পষ্ট আর বাংলা অংশে এভারেজ লেখাটির প্রিন্টিং মিসটেক।কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।দ্রুত আমাদের সার্টিফিকেট সংশোধনের ব্যবস্হা করুন এবং প্রিন্টিং এ যে কালি ব্যবহৃহ হয় তা পরিবর্তন করুন।এছাড়া অন্তত বাংলিশ না করে, সেশন,রোলনাম্বারটা থাকার দরকার ছিল সার্টিফিকেটে।আমাদের অনেকের চাকরির ভাইবা সামনে।সর্বনাশ হতে দিয়েন না” ।
এই রকম শত শত স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ।
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: