লাইভ প্রতিবেদক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থর সামনেই কর্মীরা অপকর্ম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার সামনেই ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগ কর্মীরা সভাপতির সামনেই দুই সাংবাদিককে নাজেহাল করেন। এসময় পার্থ সাংবাদিকদের জানান তার এবিষয়ে কিছুই করার নেই।
এঘটনার পরেই সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডাররা। এসময় তারা রড, লাঠি, লোহার পাইপ নিয়ে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়। এসময় একজনকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে দেয়া হয়। আরেকজনের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডাররা। পরে সহপাঠীরা তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শাবির সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ সভাপতির প্রশ্রয়েই ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে। তিনি বিষয়টি মীমাংসা না করে কর্মীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। এরপরেই হামলার ঘটনা ঘটে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এভাবে প্রকাশ্যে সাংবাদিক পেটানোর নজির নেই বলে উল্লেখ করেন তারা। ছাত্রলীগের সভাপতি কঠোর হলে এমন সাহস পেত না ছাত্রলীগের কর্মীরা।
সাংবাদিকরা আরো অভিযোগ করেন, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় হুমকি দেন সমাজকর্মের মাহমুদুল হাসান রুদ্র ও পরিসংখ্যানের সাজ্জাদ হোসেন। তারা নিজেদের পার্থর অনুসারী বলেও পরিচয় দেন। এঘটনার পর সন্ধ্যায় হামলার শিকার হন দুই সাংবাদিক।
এদিকে সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ জানান, যৌন হয়রানির মত কোন কিছু ঘটেনি। বরং ওই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে শালীনভাবে চলাফেরা করার কথা বলা হয়েছে। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি আমি মীমাংসা করে দিয়েছি। পরে হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা আমি জানি না।
উল্লেখ্য, শাবিতে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় শনিবার রাতে শাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাস ও সহ-সভাপতি সৈয়দ নবীউল আলম দিপু গুরুতর আহত হয়েছেন।
যৌন হয়রানির বিষয়ে এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে শনিবার ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে বখাটেপনার শিকার হন তিনি।
ঢাকা, ০৯ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: