লাইভ প্রতিবেদক: জ্ঞান ভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠনের জন্য কাজ করবে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ইউনিভার্সিটি। একই সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানব সম্পদ উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আর এই লক্ষ্যে অতি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম।
বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথমে তিনটি অনুষদে মোট ১০ টি বিভাগ থাকবে। এসব বিভাগে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিকমানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ও ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার একটি নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিকে গড়ে তোলা হবে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সারসংক্ষেপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
সোমবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউইনভার্সিটি আইন প্রণয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও সিলেবাস প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিশ্বব্যাপী আগামী ২০ বছরে পাইলটের চাহিদা ৫ লাখ ৫৮ হাজার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিমান কর্মীর চাহিদা ৬ লাখ ৫ হাজার। দক্ষ জনবল তৈরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম বিনিময়ের অংশ হিসেবে শুরুতেই লন্ডনের মিডল সেক্স ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন ভিল ইউনিভার্সিটি এবং মালশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন্ হোসেন ওন্ সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকা, ২৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: