Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবিতে ভর্তিচ্ছুদের দশ লাখ টাকা কোথায়!

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৭, ০৭:০৪

শাবি লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়া হচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে নেয়া ওই দশ লাখ টাকার কোন কূলকিনারা করতে পারছে না প্রশাসন। ওই টাকা অলস পড়ে আছে নাকি খরচ করে ফেলা হয়েছে এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৫ মাস হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা তাদের অর্থ ফেরত পাননি। তবে ভর্তি কমিটির দাবি টাকা তাদের কাছে আছে। পোস্ট অফিসের অনীহার কারণে টাকা ফেরত দেয়া যাচ্ছে না।

জানা যায়, শাবিতে গতবছরের বছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১৮ অক্টোবর ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এরই মাঝে বর্ধিত ফি দিয়ে শাবিতে আবেদন করে প্রায় ছয় হাজার ভর্তিচ্ছু।  তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে এমন আশ্বাস দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের কথামত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।

গত বছরের ৭ নভেম্বর ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. এএইচএম বেলায়েত হোসেন বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা কিভাবে ফেরত দেয়া যায় তা নিয়ে তারা ১০ নভেম্বর আলোচনায় বসবেন। যারা পরীক্ষা দিতে আসবে তাদের টাকা তখনই ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে কিংবা যে ফোন নম্বর দিয়ে আবেদন করেছে, সেখানে যোগাযোগ করেও অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হতে পারে।

ভর্তি পরীক্ষার দুই দিন আগে ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পরীক্ষার হলেই শিক্ষার্থীর কাছে তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু ২৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে এমন আংশকা দেখিয়ে ওইদিন টাকা ফেরত দেয়নি প্রশাসন। পরবর্তীতে ৭ ডিসেম্বর ভর্তি কমিটি টাকা ফেরত দিতে পারিতোষিক উপকমিটির আহবায়ক প্রফেসর মো. আহমদ কবির চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. রেজা সেলিম ও প্রফেসর ড. জহিরুল ইসলাম।

ড. বেলায়েত হোসেন বলেন, বর্ধিত ফি’তে আবেদন করা সকল শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত টাকা শিগগিরই ফেরত দেয়া হবে। টাকা পাঠানোর যাবতীয় খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে পোষ্টাল অর্ডারের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের খুদে বার্তার মাধ্যমে অবহিত করবেন বলেও জানান তারা।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বেলায়েত হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দশ লাখ টাকা আমাদের কাছে রয়েছে। পোস্ট অফিসের ইলেক্ট্রনিক্স মানি ট্র্যান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ ফেরত প্রদানের কথা ছিল। তবে মাত্র দশ লাখ টাকার জন্য প্রায় ছয় হাজার ফরম পূরণ করতে ‘পোস্ট অফিস’ রাজি হচ্ছে না। আবার সবার বিকাশ নম্বর না থাকায় এর মাধ্যমেও দেয়া যাচ্ছে না। তবে টাকা ফিরিয়ে দিতে অন্য আরেকটি পন্থা বের করেত আমরা টেলিটকের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই এর একটি সমাধান হবে।

বর্ধিত ফি’তে আবেদনকারীদের যারা বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থী হিসেবে রয়েছেন তাদেরকে খুব শিগগিরই ভর্তি কমিটির সভাপতির অফিস থেকে টাকা সরবারহ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া ওই টাকা ফেরত নিয়ে এমন তালবাহানার কারণে এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছেন। ভর্তিচ্ছুরা আদৌ তাদের অর্থ ফেরত পাবেন কিনা এনিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ওই অর্থ অলস পড়ে আছে নাকি খরচ হয়ে গেছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।


ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ