লাইভ প্রতিবেদক : তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার মধ্যরাতের এমন সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের ঘুম ভাঙলেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। কয়েক ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় দেখা মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তিদের। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় অটোরিকশাযোগে অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নিত এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
সংঘর্ষের ঘটনায় শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট আশীষ কুমার বণিককে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হলেও ঘটনা চলাকালে দেখা মেলেনি আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বরত কোনো কর্তাব্যক্তিকেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের হলের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে শাহপরান হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসেন বলেন, রাতে ঘটনার সমাধানের জন্য আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক প্রভোষ্ট ও সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো দেখা মেলেনি। সংঘর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সহকারী প্রক্টর সামিউল ইসলামকে ঘটনাস্থলে দেখা মেলে। তবে ততক্ষণে সংঘর্ষ থেমে যায়। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সংঘর্ষে কেউ মরে গেলেও হয়তো ঘুম ভাঙবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না।
ঢাকা, ০৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: