পাবনা লাইভ : ছোটবেলায় বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল তাদের ছেলে ডাক্তার হবে। কিন্তু সেই ছেলেটির ঝোঁক ছিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি। ছোটবেলায় খেলনা গাড়ি ভেঙে আবার সেটি তৈরি করাই ছিল তার নেশা। সেখান থেকেই
স্বপ্নটা তার দানা বেধে উঠতে শুরু করে। খেলনা গাড়ি বানানে সেই ছেলেটা এখন কোয়াড বাইক তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যার খ্যাতি বাংলাদেশ ছাপিয়ে দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে। দুর্গম এলাকায় চলার জন্য ওই কোয়াড বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। বলছি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমিত কর্মকার শোভনের কথা। পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের সোনাপট্টি এলাকার সন্দ্বীপ কর্মকারের ছেলে তিনি।
সুমিত ও তার টিমের সদস্যরা দূর্গম রাস্তায় চলাচলের জন্য 'কোয়াড বাইক' আবিস্কার করে দেখিয়ে দিয়েছেন স্বপ্ন থাকলে এবং চেষ্টা করলে অসম্ভবকে জয় করা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের অটোমোবাইল জগতের উদ্ভাবনী ইতিহাসে প্রথম বলে দাবি করেছেন শোভন ও তার টিমের সদস্যদের। তাদের টিমের নাম ক্র্যাক প্লাটুন।
ছবি : ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে পুনষ্কার হাতে টিম ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্যরা
সম্প্রতি শোভনের তৈরি কোয়াড বাইক ভারতের তামিলনাড়ুতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। প্রতিযোগিতায় ২৩ ফাইনালিস্টের সঙ্গে লড়াই করেছে শোভনদের টিম।
শোভন জানান, তারা এখন ফর্মূলা কার নিয়ে কাজ করছেন। এটা বানিয়ে তারা জাপানে বিশ্বের সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের সঙ্গে লড়বেন।
শোভন আরো জানান, রুয়েটের দুইজন ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজরের (অনুষদ উপদেষ্টা) সহযোগিতায় তারা দশজন মিলে প্রায় তিন মাসের প্রচেষ্টায় কোয়াড বাইকটি তৈরি করেছেন। গবেষণা পর্যায়ে থাকায় তাদের এই বাইকটি বানাতে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। বাইকটিতে একটি দেশীয় কোম্পানির ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে তাদের তৈরি কোয়াড বাইকটি পাহাড় কিংবা দুর্গম অঞ্চলের মাটির রাস্তায় চলতে পারবে। এতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চারটি চাকা লাগানো হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রুয়েটের মেশিন শপেই তৈরি করা হয়েছে এটি।
ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: