লাইভ প্রতিবেদক: রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে। তার অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালের দিকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
গত ৩ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের হামলায় আহত হন নার্গিস। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ওইদিন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন খাদিজা।
বৃহস্পতিবার খাদিজাকে ভেন্টিলেশন মেশিন থেকে আলাদা করা হয়। ভেন্টিলেশন মানে হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য সাপোর্ট দেওয়া, যেটাকে লাইফ সাপোর্ট বলা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লাইফ সাপোর্ট ছাড়া খাদিজা কত সময় থাকতে পারেন সে বিষয়ে পরীক্ষা করেছেন তারা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খাদিজা ভালোই সাড়া দিচ্ছেন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ভেন্টিলেশন মেশিন ছাড়া সব সময় শ্বাস নিতে পারলে লাইফ সাপোর্ট পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে এ কথা জানান স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালট্যান্ট মির্জা নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লাইফ সাপোর্ট খুলে টেস্ট করছি যে, খাদিজা কতক্ষণ থাকতে পারেন।’ যদি খাদিজা লাইফ সাপোর্ট ছাড়া থাকতে পারেন তাহলে তা সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের প্রফেসর ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখানে তাকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি হলে স্থানান্তর করা হবে সাধারণ কেবিনে। তিনি জানান, খাদিজা ভালোই সাড়া দিচ্ছেন। খাদিজার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের জন্য সোমবার শ্বাসনালীতে ছোট্ট একটি অস্ত্রোপচার হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য আগে মুখে টিউব ছিল, সেটি সরিয়ে গলার সামনের অংশে দেয়া হয়েছে। অবস্থা পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে রাখতে হবে।’
খাদিজার চাচা বলেন, আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে ও সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে নার্গিসকে আমরা বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু খাদিজার সব দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই মনে করি আমাদের চিন্তার কিছু নাই।
৯৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে নার্গিসের অপারেশনকারী চিকিৎসক নিউরো সার্জন ডা.এ এম রেজাউস সাত্তার গত শনিবার সাংবাদিকদের জানান, খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে। তার শরীর রেসপন্স করছে। আগে খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ৫ শতাংশ, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ।
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: