রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীকে পরিক্ষার হল থেকে ডেকে এনে মারধরের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। তারা দেখেও না দেখার ভান করেন। ছাত্রলীগের মুখের দিকে তাকিয়ে নিরবে সব কিছু সয়ে যাচ্ছেন বলে হর-হামেশাই অভিযোগ আসে।
এবার ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা একজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জীবন। শিক্ষার্থীর দাবি, সম্প্রতি সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকায় এবং ঐ বিষয়ের বিভিন্ন নিউজের লিংক তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করা হয়েছিল।
তার কারণ হিসেবে তাকে ডেকে এভাবে বেধড়ক মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, ইমতিয়াজ আহমেদ।
জীবনের অভিযোগ, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগের বড় ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ আমাকে ফোন দিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলে ডাকেন। আমি তাকে স্যারের সাথে কথা বলে আসছি বলেছি। তার কিছুক্ষণ পর আমাকে টুকিটাকিতে ডাকেন।
আমি সেখানে গেলে তিনি লাইব্রেরীর পেছনে (ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে) আসতে বলেন। আমি সেখানে উপস্থিত হলে আমার ফেসবুক আইডি লগইন করে। আইডিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পোস্ট দেখে তারা আমাকে ছাত্রদল, শিবির, জঙ্গী হ্যাস ট্যাগ রয়েছে বলে। তারপরেই আমাকে চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি মারেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে বেশ কয়েকবার ফোন যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, “জীবন নামের ঐ ছেলেটি ছাত্রদলের সাথে জড়িত বলে জানতে পারি।
সেজন্যই তাকে দলীয় টেন্টে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ফেসবুক চেক করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দেখতে পাই। পরে তাকে বুঝিয়ে এবং সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।”
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: