শাবি লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাঁজা কেনার সময় ধরা খেয়েছেন ১০ শিক্ষার্থী। তবে তাদের সতর্কতা দিয়ে ছেড়েে দেয়া হয়েছে। এসময় ৩২ পুরিয়া গাঁজাসহ এক যোগানদাতা ও পাঁচ বহিরাগত গাঁজা সেবনকারীকে ক্রমান্বয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই অভিযান চলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর জহীর উদ্দিন আহমদ। পরে শনিবার তাদের পাঁচজনকে কোর্টে চালান করা হয় বলে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ওসি শাহ. মো. হারুনুর রশিদ। আটকদের মধ্যে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মাদক সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রক্টর প্রফেসর জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, শুক্রবার বিকেলে সোয়াব আলী নামে এক গাঁজা বিক্রেতাকে আটক করা হয়। টিলারগাও এলাকার গাঁজা চক্রের মূল হোতা সোয়াব আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে কৌশলে গাঁজা বিক্রি করছিলেন। গাঁজা বিক্রি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিল। আটকের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চেক করে তার কাছ থেকে ৩২ প্যাকেট (পুরিয়া) গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার সূত্র ধরে যুগিপাড়া এলাকার মিলন মিয়া, শাবি ক্যাম্পাসের টং দোকানের কর্মচারি মইনুল মিয়া, এইচএসসি পরীক্ষার্থী অর্ঘ্য সরকার, নাজিরগাও এলাকার সালেহ আহমেদ ও পল্লাল আহমেদকে আটক করা হয়। এসময় তাদেরকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য জালালাবাদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে অর্ঘ্য আহমেদ, পল্লাল সরকার, সালেহ আহমেদকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। তবে অর্ঘ্য সরকারের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রক্টর আরো জানান, আমরা অনেক দিন ধরেই সোয়াব আলীকে খুঁজছিলাম। সে বড়গুল এলাকার তিতাসা মাজারে নিয়মিত গাাঁজ বিক্রি করে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের বিস্তৃত একটা এলাকায় মাদকদ্রব্য সরবারহ করতো সে। এছাড়া তার সহযোগি আরো কয়েকজনকে প্রশাসনের তৎপরতায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ক্যাম্পাস সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে এবং সন্ধ্যায় পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সোয়াব আলীর কাছ থেকে গাঁজা কিনতে আসেন। এসময় এদেরকে কৌশলে প্রক্টরিয়াল বডি আটক করে। আটকরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খালিদ আল রাফি, রসায়নের রাকিবুল ইসলাম, স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মুরশিদুল মুকারাব্বিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা সোয়েব, শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, বিএমবি বিভাগের আহমদুর রহমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজিদ মোস্তফা, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ এম আবু সাবিত, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহাদ বিন আহমেদ ও আশিক আরাফাত। তবে আটকের পর তারা ক্ষমা চাইলে তাদেরকে সর্তক করে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাকা, ১২ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: