রাবি লাইভ: মেস মালিকের ছোট ভাই বলে কথা। তার সাহস আর দাম্ভিক মানসিকতার তুলনা হয়না। ছাত্রী দেখলেই হলো। বাস উত্যক্ত করতেই হবে। জানাগেছে কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। পরে এক সঙ্গে প্রতিবাদ করলেন তারা। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উত্যক্ত করার দায়ে স্থানীয় ঐ বখাটেকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপর পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উত্যক্তকারী যুবকের নাম বুলবুল আহমেদ (৪০)। সে বিনোদপুরের ‘মাইশা ছাত্রীবাসের মালিক মিঠুনের ছোট ভাই। মাইশা ছাত্রীবাসসহ পাশের দুই মেসের ছাত্রীদের ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে উত্যক্ত করে আসছেন। ঘটনাক্রমে বুলবুল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই ছাত্রী রুম থেকে বের হলে তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষায় কুটুক্তি করেন।
পরে আশাপাশের সকল মেসের ছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূক্তভোগীর পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করেন। ছাত্রীদের অভিযোগ- রাস্তায় কোন মেয়ে দেখলেই ওই যুবক তাদের উত্যক্ত করে। স্থানীয় হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতেন না কেউই। তার আজে বাজে মন্তব্যে বিষিয়ে তুলে গোটা পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ছাত্রী জানান, বুলবুল প্রায়ই এ ধরনের কাজ করেন। সে রাস্তায় কোন মেয়ে দেখলেই বাজে টোন (অশালীন মন্তব্য) করেন। তার এমন আচরণে মেয়েরা মেসের বারান্দায় পর্যন্ত যেতে পারে না। রাত দুইটা, তিনটার দিকেও অনেক সময় জানালা খোলা থাকলে ফোনেটর টর্চ জালিয়ে দেখা। মাঝে মাঝে জানালায় এসে টোকা দেয়। স্থানীয় ও মেস মালিকের ছোট ভাই হওয়ায় ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলার সাহসও পায় না।
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক সেখানে গিয়েছিলাম। বখাটে বুলবুলের ভাই মেস মালিক মিঠুনের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতে বুলবুল এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনের সহায়তা নেবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘বখাটে ওই যুবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে সে এমন কাজ করে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তবে জানা যায় তার অস্থি মজ্জায় এই স্বভাব বাসা বেধেঁছে।
ঢাকা, ১০ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: