জামালপুর লাইভ : জামালপুরে ভাতিজিকে বিয়ে করায় ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। সম্পর্কে দুলাভাই ওই চাচাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন লজ্জায় ঘৃণায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে শুক্রবার রাত একটায় সদর উপজেলার লাহেড়িকান্দার নবাবপুর গ্রামে। এ ঘটনায় শ্যালক খালিদ হাসান স্বরণ চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জামিরুল ইসলাম ছোটন তালুকদার (৩৫) নবাবপুর গ্রামের আবু তাহের তালুকদারের ছেলে।
নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. সাদির উদ্দিন জানান, জামিরুল ইসলাম ছোটন ৩ বছর আগে দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই ফজলুল হক চৌধুরীর মেয়ে লুবানা আক্তারকে (২৬) পালিয়ে বিয়ে করেনে। মেয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। তারপর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় বাস করেন। ঈদের ছুটি ও পারিবারিক বিয়ে উপলক্ষে গ্রামে আসেন। শুক্রবার রাত একটার দিকে বিয়ের পূর্ব প্রস্তুতির কাজ শেষে ছোটন বাড়ীর সামনে পুকুর পাড়ে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
এ সময় তার শ্যালক খালিদ হাসান স্বরন চৌধুরী রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন আহত ছোটনকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর খালিদ হাসান স্বরণ নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিজেই উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বরণ বলেন, আমার বোন পালিয়ে চাচাকে বিয়ে করায় এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিলাম না। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছি।
ঢাকা, ২৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: