হবিগঞ্জ লাইভ : সাহেদ খান হাসিব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রটি ক্যাম্পাসে নিজেকে মেলে ধরার আগেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে লাশ হয়েছেন তিনি। সাঁতার জেনেও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। মেধাবী এই ছাত্রটিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ঘটনা এটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার পর অনেকটা ক্লান্ত শরীর নিয়েই গোসলে নামেন হাসিব। সাঁতারের একপর্যায়ে তিনি ডুব দিয়ে নিখোঁজ হন। দুর্বলতার কারণে তিনি আর ভাসতে পারেননি। পানিতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। সাঁতার জানার পরেও এমন একজন মেধাবী ছাত্রকে হারিয়ে পরিবার তথা এলাকার লোকজন কোনোভাবেই নিজেদের মানাতে পারছেন না। তারা এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, প্রচণ্ড গরমের সময় বাড়ির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলেন হাসিব। পরে বাড়ির পেছনে সাগরদীঘিতে গোসল করতে নামেন হাসিব ও তার বন্ধুরা। গোসলের সময় হাসিব পানিতে ডুব দেয়। পানির নিচ থেকে উঠতে দেরি দেখে তার বন্ধুরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।
এসময় সহপাঠিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর নৌকা দিয়ে খোঁজাখুঁজি করে ভাসমান অবস্থায় হাসিবকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হাসিফের আত্মীয় আজিজুর রহমান খান বাবু জানান, হাসিব সাঁতার জানতো। ধারনা করা হচ্ছে, স্টোক করে অথবা দীঘির চোরাবালিতে আটকে মৃত্যু হয়েছে তার। নিহত ওই ছাত্র সাগরদীঘির পূর্বপাড়ের আকিকুর রহমান খানের ছেলে। তিনি জাবির প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা, ২০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: