Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবির ভর্তি পরীক্ষা : গুগলের বিশেষ বাসে আসে জালিয়াতকারীরা!

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বার ২০১৬, ০৬:৫২

লাইভ প্রতিবেদক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। জালিয়াতকারীরা কিভাবে শাবিতে এসেছেন তাদের সঙ্গে কারা কারা ছিলেন এনিয়ে তথ্য মিলেছে।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতচক্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল বগুড়ার একটি কোচিং সেন্টার। ওই কোচিং সেন্টারের অধীনে জালিয়াতচক্র একটি বিশেষ বাসে করে শাবিতে আসে।

বিশেষ বাস ওই বাসটি পাঠানো হয়েছিল বগুড়ার গুগল ইনফরমেশন সেন্টার এন্ড কোচিং সেন্টার থেকে। গুগলের ব্যানারে আসা ওই বিশেষ বাসের তত্ত্বাবধানে ছিল ৩ জালিয়াতকারী। বাসের মোট যাত্রী ছিলেন ৩২ জন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ছাড়াও ওই বাসে ছিলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও। তাদের সাথেই ছিল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর পাঠানোর জন্য লক্ষ্যে তৈরী করা ক্যালকুলেটর আদলের বিশেষ ডিজিটাল যন্ত্র। আসার পথে বাসে বসেই ওই যন্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জানানো হয়।

কিন্তু শাবির পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁও পৌঁছার পর ওই বাসে জালালাবাদ থানা পুলিশ হানা দেয়। এতে সব তছনছ হয়ে যায়। নকল সরবরাহের বিশেষ ক্যালকুলেটর গাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় মূল হোতারা। তবে এসময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বগুড়ার গুগল কোচিং সেন্টারের সহকারী পরিচালক ইশান ইমতিয়াজ হৃদয়। তার কাছ থেকেই পাওয়া গেছে নানা তথ্য। রিমান্ড শেষে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন হৃদয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র হৃদয়। থাকেন শহীদ সালাম বরকত হলে।

ইশান ইমতিয়াজ হৃদয় তার জবানবন্দিতে আদালতকে জানান, তিনি বগুড়ার গুগল ইনফরমেশন সেন্টার এন্ড কোচিং সেন্টারের খণ্ডকালীন শিক্ষক। জিসান ওই সেন্টারের পরিচালক। জিসানের নির্দেশেই তিনি শাবিতে আসেন। এর জন্য ৫ হাজার টাকায় চুক্তি করা হয়। পাশাপাশি সিলেট ঘুরে দেখানোরও অফার দেয়া হয়। এমন আশ্বাসেই গুগলের বিশেষ বাসের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সিলেটে আসেন হৃদয়।


উল্লেখ্য, সিলেটের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধলক্ষাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে নকল সরবরাহের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বগুড়ার গুগল ইনফরমেশন সেন্টার এন্ড কোচিং সেন্টারের জালিয়াত চক্র। তবে ২৬ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশসহ সিলেটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পরে জালিয়াতকারী চক্র। ১৭টি ডিভাইসসহ জালিয়াত চক্রের ৮ জন গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে বগুড়ার গুগল এডমিশন এন্ড ইনফরমেশনের শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈশান ইমতিয়াজ হৃদয়, শাবির ছাত্রলীগকর্মী আল আমীন, শাবির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন দীপ্ত, মাহির আসেফ, মাসরুর হোসেন বাপ্পী, মোস্তফা গালিব আল ফায়সাল, সেলিম রেজা ও জিয়াউর রহমান। তবে জালিয়াত চক্রের মুল হোতা বগুড়ার গুগল ইনফরমেশন সেন্টার এন্ড কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবির হোসেন জিসান ও সৈকত হাসান এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ওই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে শাবি শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতাকর্মী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের ধরার ব্যাপারে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু তাদের বাঁচাতে অনেকটা মরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নেপথ্যের হোতাদের গ্রেফতার করা হলে প্রকৃত রহস্য জানা যেতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছে।  




ঢাকা, ০৩ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ