মেহেদী হাসান : এটাকে কেউ পাবলিক টয়লেট ভেবে ভুল করবেননা। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কোন এক তলার বাথরুমের কিছু চিত্র। আমি আপনাদের ছবি দেখাতে পারছি কিন্তু গন্ধটা আপনাদের নাকে পৌঁছে দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত।
বিগত পাঁচ বছর থেকে দেখে আসছি এই রকমই থাকে সোহরাওয়ার্দী হলের সকল ব্লকের সকল বাথরুমগুলো। আপনারা অনেকেই হয়তো এই হলটার সাথে কানেকটেড। অনেকেই এই হলটার পুকুরপাড়ে বসে আড্ডা দিছেন। আপনারা হয়তো বাইরে থেকে দেখে বলেন হলটা অনেক সুন্দর কিন্তু একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে যে "উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট" সোহরাওয়ার্দী হলের অবস্থা এখন ঠিক এমনই। ওই হলের বাথরুম টয়লেটগুলো ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে, কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এগুলো ব্যাবহার করা সম্ভব না। আমরা হলের ছাত্ররা অনেকবার বলার পরেও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। আর হল সুপারভাইজারের কথা কি বলব উনিত বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের চেয়েও ক্ষমতাধর। ছাত্ররা ওনার সাথে কথা বলতে চাইলে রেজিস্ট্রেশন করে কথা বলতে হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় আফসোস আমাদের প্রাধ্যক্ষ স্যারকে আমরা খুব কম সময়য়ই হলে পাই। তার সাথে কথা বলার সুযোগটা খুব কমই থাকে আমাদের।
এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্ররা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যদি প্রশাসন আমাদের দাবিটা মূল্যায়ন করে হল কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সমস্যা সমাধান করার জন্য তাহলে আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্ররা একটু সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবনধারণ করতে পারতাম।
মেহেদী হাসান
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ১১ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: