শাবি লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজের ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় হামলাকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়ার সময় জাফর ইকবার তাদের মারতে নিষেধ করেন। হামলাকারী শাবি ছাত্র কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যও বলেন তিনি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য ছুরি নিয়ে জনপ্রিয় ওই লেখকের ওপর হামলা হয়। তার মাথায় চার জায়গায় এবং বাঁ হাত ও পিঠে ছুরির আঘাত লাগে।
হামলার পরপরই এক তরুণকে ধরে ফেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাকে বেদম পেটানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এ আটকে রাখা হয়। পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে সেখান থেকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে প্রফেসর জাফর ইকবালকে হামলার পরপরই নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর রাতেই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, ওসমানী মেডিকেলে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে তারা হামলাকারীর ধরা পড়ার কথা জানান। আমরা বলেছিলাম, স্যার টেনশন করবেন না। হামলাকারী আটক হয়েছে। ওকে শিক্ষার্থীরা পিটুনি দিয়েছে। এ কথা শোনার পর স্যার বললেন, ‘তোমরা ওকে মেরো না। ওকে সেইভ করো। খোঁজ নাও ও আমার ছাত্র কি-না’।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবাল যখন মঞ্চে ছিলেন; তখন হালকা দাড়িমুখে শার্ট আর জিন্স পরিহিত ওই তরুণকে তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
হামলাকারী তরুণের ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার তার পরিচয় শনাক্ত করেন প্রতিবেশীরা। তারা জানান, ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল নামের এই তরুণ নিজেকে মাদ্রাসাছাত্র বলে পরিচয় দিতেন। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়ায় থাকেন তিনি।
ঢাকা, ০৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: