শাবি লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের দায়ে আজীবন বহিষ্কারের প্রতিবাদে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে অনেক বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান নেন। এসময় শাবি শিক্ষকদের বাস ছাড়া শিক্ষার্থীদের বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থীকে হেঁটেই ক্যাম্পাসে আসতে হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটেছে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের ঘটনায় আজীবন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। বিচারের নামে অবিচার হয়েছে বলে তাদের দাবি। র্যাগিংয়ের ঘটনায় শাস্তি হোক এটা তারা চান তবে আজীবন বহিষ্কার করে শিক্ষাজীবন ধংস করা উচিৎ হয়নি বলে মন্তব্য আন্দোলনকারীদের।
জানা গেছে, বুধবার শাবিতে র্যাগিংয়ের দায়ে ১৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া দুই শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। র্যাগিংয়ে নেতৃত্ব দেয়া ৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিইই) শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ হিমেল ও হামিদুর রহমান রঙ্গনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের মাহমুদুল হাসান ও শাহরিয়ার জামানকে দুই সেশনের জন্য বহিষ্কার ও দশ হাজার টাকা জরিমানা, একই বিভাগের ইশতিয়াক আহমেদকে এক সেশনের জন্য বহিষ্কার ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই একই বিভাগের বাবলু মারমা, আদ্রী দাস, আবু রেদওয়ান খান, উমর আলম সরকার এবং পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের রনি সরকারকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্কীকরণ করা হয়েছে। আহমেদ হাসিব, দেবাষীস বসু, মাহবুবে ইব্রাহীম, মো. শহীদুল আলম, মো. আল আমিন, দীপ্ত তরু, আশিকুল এনাম, রাইসুল বারী সিফাত, সজিবুর রহমানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া নাজমুস সাকিব ফারদি এবং শরিফুল ইসলামকে শুধুমাত্র সর্তক করা হয়েছে। বুধবার সিন্ডিকেট সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে পুরকৌশল বিভাগের নবাগত ছয় ছাত্রকে মেসে ডেকে নিয়ে যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্র। পরে তাদের বিবস্ত্র করে আর্ট পেপার দিয়ে লজ্জাস্থান ঢেকে সেলফি তুলতে বাধ্য করা হয়। পরে তা ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ানো হয়। এঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয়। শাবি ক্যাম্পাস তথা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এনিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে। পরে এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা, ০১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: