Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ফেইসবুকে পরিচয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রলোভনে প্রেম!

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০১৮, ০৮:৫০

লাইভ প্রতিবেদক : ফেইসবুকে পরিচয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই সম্পর্কের দোহাই দিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা এটি। ওই ঘটনায় জড়িত ছাত্রীকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও অভিযুক্ত ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ভর্তির প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ত্বাকিয়া নামে এক ছাত্রীর সঙ্গে জাবির আল-আমিন নামে এক ছাত্রের ফেইসবুকে পরিচয় হয়। ওই ছাত্রী অপেক্ষমান তালিকায় থাকায় তাকে জাবিতে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আল আমিন। এসময় তিনি তার পরিচয় গোপন করে ফেইক আইডির মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে সেই সম্পর্কের দোহাই দিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ছাত্র। ওই ছাত্রী ২০ হাজার টাকা বিকাশে প্রদান করেন। বাকি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

এদিকে জাবি ছাত্র আলআমিন জালিয়াতির মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির সুযোগ করে দেন। অন্য একজনের আইডি ব্যবহার করে ওই ছাত্রী জাবিতে দীর্ঘ একবছর ক্লাসও করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ওই বিভাগের প্রধান ত্বাকিয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান। পরে ত্বাকিয়াকে আটক করা হলে মঙ্গলবার তিনি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। এসময় ওই ছাত্রী জানান, জাবির আল আমিন নামে এক ছাত্র তাকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। তার কথার সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে ওই জাবি ছাত্র আল আমিনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আল আমিন জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিন বোর্ডের মিটিংয়ের পর এক জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে আল আমিনকে জাবি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কৃত আল-আমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া সেই ছাত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

জাবি রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিক জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ছাত্রীকে ভর্তি চেষ্টার অভিযোগে ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরিচয় গোপন করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের নামে প্রতারণা ও ভর্তি করিয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রফেসর রাশেদা আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সেই ছাত্রী ত্বাকিয়াকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে এক বছর ক্লাস করার পর বিভাগীয় সভাপতির সন্দেহের পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে ত্বাকিয়ার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ত্বাকিয়া স্বীকারোক্তি দেন, আল-আমিন তার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি বাবদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে ও বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নেন। এমন স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আল আমিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ