সিলেট লাইভ : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী অপহরণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঐশী হামোম নামে ওই ছাত্রী অপহরণ নাকি প্রেমের কারণে নিখোঁজ হয়েছেন এনিয়েও চলছে আলোচনা। এঘটনায় মণিপুরি ছাত্র রনি সিংহকে খুঁজছে পুলিশ। রনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঐশীও মণিপুরি সম্প্রদায়ের। তাই বিষয়টি প্রেমঘটিত নাকি তাকে জোর করে তুলে নেয়া হয়েছে এনিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঐশী উদ্ধার হয়ে গেলে পুরো ঘটনার রহস্য খোলাসা হবে।
জানা গেছে, ঐশী হামোমের বাড়ি মোলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরি অধ্যুষিত এলাকায়। তার বাবা সনাতন সিংহ পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ঐশী আবাসিক ছাত্রী হলে থাকতেন।
ঐশী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পারদর্শী হওয়ায় ঐশীকে এক নামেই চিনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সবাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষ্ঠানে ঐশীর সরব উপস্থিতি রয়েছে। ঐশীর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা আবাসিক ছাত্রী হলে বসবাস করলেও ঐশী প্রাইভেট পড়তে প্রায় দিনই যেতেন নগরীর সুবিদবাজারে। সেখানে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। গত ৭ই নভেম্বর ঐশী প্রাইভেট পড়তে নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় যান। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও হলে ফিরেননি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। ঐশীকে খুঁজতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সবাই। পরে বিষয়টি জানানো হয় ঐশীর পিতা সনাতন হামোমকে। তারাও বিষয়টি জানার পর ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সব খানে খোঁজাখুঁজির পর ঐশীকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঐশীকে খুঁজে না পেয়ে পরিবার থেকে বিষয়টি অবগত করা হয় শাহপরান থানা পুলিশকে। প্রথমে জিডি করা হলেও পরে সনাতন হামোম শাহপরান থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলা রেকর্ডের পর ঐশী হামোমকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
ইতিমধ্যে পুলিশ ঐশী অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ব্রজেন সিংহ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল সন্দেহভাজন রনিকে গ্রেফতার করা যায়নি। রনির বাড়ি হবিগঞ্জে। সেও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ালেখা করে।
সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশ জানিয়েছে, সনাতন হামোম তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে মামলা করেছেন। এঘটনার মূল হোতা রনি সিংহ। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিলেট, ১৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: