শেরপুর লাইভ: নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অদম্য চেষ্টায় মেধাবী শিক্ষার্থী মো. আল আমিন (১৬)। সফলতা আর ব্যর্থতাকে মেনে নিয়েই জীবণ যুদ্ধে নেমেছেন তিনি। বাবা মার স্বপ্ন পূরণে দিন-রাত একই মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ণ শিক্ষর্থী আল-আমিনের। কারণ কখনো কাঁস্তে হাতে কাজে যোগদান আবার কখনো কলম হাতে মেধার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এ যেন কঠিন সংগ্রাম।
অভাবের সংসারে নিজের চাওয়া পাওয়ার কোন মন ছিলনা তার। দু'চোখে শুধু প্রাণপ্রণে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবার স্বপ্ন। কিভাবে জীবনে সফলতার চূড়ায় উঠা যায়। আর এই চেষ্টায় থেমে নেই আল-আমিন। এখনো প্রবল আর্থিক সমস্যার বাঁধায় তাকে যেন আর সামনের দিকে এগুতে দিচ্ছে না।
তার স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার। সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগও পেয়েছেন তিনি। আল আমিনের বাবা মো. হাবিবুর রহমান মাছের পোনা বিক্রি করে সংসার চালান। তাদের বাড়ী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কাঠাঁলতলী গ্রামে।
তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি এ বছর গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এইচ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ভর্তির শেষ সময় ১৮ ডিসেম্বর। কিন্তু এখনো ভর্তির টাকা যোগাড় না হওয়ায় তাঁর স্বপ্ন পূরণ অনিশ্চিত।
আল আমিন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবো। স্বপ্ন পূরণের সুযোগও পেয়েছি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডপস’র সহযোগীতায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পেরেছিলাম। এখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত টাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় আমার স্বপ্ন পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পরছে।
আল আমিনের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, তার জমি বলতে শুধু বসতভিটেই রয়েছে। দিন মজুরী করে কোন রকমে সংসার চলে তাদের। এর মধ্যে ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়ালেখার ব্যয় বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
সমাজের দানশীল ও হৃদয়বান মানুষের সহায়তাই এখন আল আমিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৯৯৪৯৬৯৮২৮।
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: