ইবি লাইভ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ এবং বাণিজ্য অনুষদভূক্ত ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উভয় কমিটিকে যথাশিঘ্রই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস. এম. আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তিন শিফটের প্রথম এবং দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই শিফটের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বাতিল এবং তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা স্থগিত করে।
প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও ‘সি’ ইউনিটভূক্ত সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শামসুল আলম, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. রবিউল ইসলাম অনু। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম আব্দুল লতিফ।
এছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে আহবায়ক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. দীপক কুমার পাল।
জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। টেকনিক্যাল ভুলের কারনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় অবাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। এতে অবাণিজ্য শাখার ১৫ শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েন। পরে ওই ১৫ শিক্ষার্থীর (৫ ডিসেম্বর) পুন: পরীক্ষা গ্রহন করে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: