এনএসইউ লাইভ: আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের এই দিনটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পনা করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের ওপর এই হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে "শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২" পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন এর নেতৃত্বে একাডেমিক এবং নন-একাডেমিক উভয় সদস্যদের একটি দল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সকালে ধানমন্ডির রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেণ।
এই কর্মসূচির সমন্বয়ক ছিলেন এনএসইউ বিএনসিসি এর কমান্ডার মেহেদী হাসান এবং এনএসইউ বিএনসিসি দলের সদস্যরা এনএসইউ বিএনসিসি এর প্রতিনিধিত্ব করেণ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শিক্ষার্থী ক্লাব এর সদস্যরা।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ এর অধ্যাপক ড. শরীফউদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান।
অধ্যাপক ড. শরীফউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সবথেকে হিংস্র চেহারা দেখা যায় ১৪ই ডিসেম্বর, কারণ তারা নিশ্চিত হয়েছিল তারা বিজয়ী হতে পারবে না, তাই তারা এ দেশকে মেধা শূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবী দের হত্যা করেছিল। প্রতিশোধ পরায়ন পাকিস্তানিরা জানতো বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই, স্বাধীনতা অর্জনের পর যাতে এ জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে সেই উদ্দেশেই তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বুদ্ধিজীবীদের অপ্রসিম অবদান ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব ছিল।
সভায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি নির্দিষ্ট দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়নি, বরং সম্পূর্ণ যুদ্ধের সময় ধরে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আজকের দিনে তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বুদ্ধিজীবীরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষদের উদজীবিত করে ছিল। বুদ্ধিজীবীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো এবং ধর্মনন্ধ ছিলো না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের জাতিকে মেধা শূন্য করতে চেয়েছিল সে জন্যেই তারা বাংলাদেশের মেধা শক্তিকে ধ্বংস করার লক্ষে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।
ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: