Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওকালতির কলাকৌশল বিষয়ক সেমিনার

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বার ২০২২, ০৪:৫৬

‘আইনি পেশা: চ্যালেঞ্জসমুহ এবং ওকালতির কলাকৌশল’ শীর্ষক সেমিনার

এনএসইউ লাইভ: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) ‘আইনি পেশা: চ্যালেঞ্জসমুহ এবং ওকালতির কলাকৌশল’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এই এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। এতে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রিজওয়ানুল ইসলাম।

অধ্যাপক মোঃ রিজওয়ানুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে ওকালতি এবং আইন শিক্ষার পদ্ধতির সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। আনুষ্ঠানিক আইন শিক্ষা শিক্ষার্থীদের আইন চর্চা এবং আইন পেশাজীবীদের প্রাথমিক সংগ্রামের জন্য কতটুকু প্রস্তুত করে তা প্রধান বক্তার কাছ থেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিচারপতি নাইমা হায়দার শ্রোতাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী থাকায় আনন্দ প্রকাশ করেন। একজন নারী হিসাবে তিনি তাঁর সংগ্রামের বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আইনজীবী হওয়াকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। বিচারপতি হায়দার তাঁর আলোচনা অব্যাহত রাখেন এবং ওকালতি কি তা ব্যাখ্যা করেন। তাঁর দৃষ্টিতে, প্রথমত এটি মক্কেল এবং আইনজীবীর মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ এবং এই যোগাযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনজীবীরা মামলাটি আদালতে নিয়ে যান।

এরপর তিনি ব্যাখ্যা করেন, সফল ওকালতির জন্য কীভাবে কার্যকর উপায়ে পড়া, লেখা, শ্রবণ এবং কথা বলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, একজন উকিলকে সুনির্দিষ্ট হতে হবে। আইনজীবীর কথায় বিচারক মনোযোগ বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলার আগেই বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে হবে। একজন আইনজীবীকে আদালতের সামনে নম্র হওয়া উচিত কারণ এটি বিচারকগণ লক্ষ্য করেন।

তিনি কথা বলার সময় কৌশলী হওয়ার ওপর জোর দেন। উদাহরণস্বরূপ, একজনকে আদালতের সামনে "আমি এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই" এর পরিবর্তে বলা উচিত, "আমি আইনের এই প্রাসঙ্গিক বিধানের প্রতি লর্ডশীপের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি"।

বক্তা মার্শালিং অফ ফ্যাক্টস এর ব্যাপারে আলোচনা করেন। যখন মক্কেল একজন আইনজীবীর কাছে আসেন, তখন তার উচিত মক্কেলকে সঠিক অবস্থান, বিশেষ করে মূল ঘটনাটি আলোচনা করার গুরুত্ব বোঝানো। মক্কেল এবং আইনজীবীর মধ্যে যে আলোচনা হয় তা অবশ্যই গোপন রাখতে হবে। এরপর, বিচারপতি ‘স্কেলেটন আর্গুমেন্ট’ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর মতে, স্কেলেটন আর্গুমেন্ট একজন বিচারককে প্রভাবিত করতে পারে।

আইনজীবীকে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করতে হবে এবং নিরর্থক জটিলতা এড়াতে গুরুত্বহীন তথ্য বর্জন করতে হবে। আবেদন করার সময় আইনজীবীর উচিত বিচারককে চিন্তা করার সময় দেওয়া। বিচারককে জিজ্ঞাসা করা উচিত তিনি আরও স্পষ্ট কোন তথ্য চান কিনা। আদালতে আইনজীবীর কথা বলার জন্য অপেক্ষা করা উচিত এবং অন্যদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। একজন আইনজীবীর দায়িত্ব হল আদালতকে সহায়তা করা এবং এটি করার জন্য, আইনজীবী একটি সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে পারেন যাতে তাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে, আইনজীবী সহজেই যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।

সেমিনারটির শেষ অংশে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আইন বিভাগের টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস সায়েরে নাজাবী সায়েম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ