
গবি লাইভ: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের অক্টোবর-২২ সেশনের সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষার (তত্ত্বীয়) শুরু হয়েছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ও বিকাল দুই শিফটে নির্ধারিত হল গুলোতে এই পরীক্ষা শুরু হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক দপ্তর থেকে জানা যায়, এবার অনার্সের চারটি অনুষদ হতে ১৯টি বিভাগে এবং মাস্টার্সে ৩টি অনুষদ থেকে ৭টি বিভাগের প্রায় ২৭০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। আরো জানা যায়, এবারের পরীক্ষা দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। সকালের শিফটে প্রায় ১৬৫০ এবং বিকালের শিফটে ৯৯৩ জনের মতো অংশ নেয়। সকালের শিফট সকাল ১১:০০ থেকে ১২:৩০ এবং বিকালের শিফট ১:০০ থেকে ৩:০০ সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ তথ্যমতে, প্রথম দিনের পরীক্ষায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবং অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, রেজিস্ট্রার সহ সংশ্লিষ্টরা হল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও, পরীক্ষায় যাতে অসদুপায় অবলম্বন না করা হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও সর্তকীকরণ বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন পরীক্ষায় নকল করলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হতে নিম্নোক্ত শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। হাতে লেখা বা ছাপানো নকল উদ্ধার হলে “ক” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো: উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ১৫,০০০.০০ (পনের হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• বেঞ্চে লেখা কোনও কিছু দেখা এবং মিল পাওয়া গেলে “খ” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২০,০০০.০০ (বিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• ফোনে নকল করার উপযোগী বইয়ের পাতা সংরক্ষণ থাকলে “গ” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে, ফোনটি বাজেয়াপ্ত হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২০,০০০.০০ (বিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
যে পরীক্ষার্থী পূর্ববর্তী পরীক্ষায়ও নকল করে শাস্তি পেয়েছে এবং চলতি পরীক্ষায় নকল করে ধরা পড়েছে, সেক্ষেত্রে এ অপরাধ “ঘ” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• যারা স্কেলে নকল লিখে আনবে, স্কেলের লেখা দেখে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখবে এবং উক্ত লেখার সাথে উত্তরের মিল পাওয়া যাবে সেক্ষেত্রে এ অপরাধ "ঙ" শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২০,০০০.০০ (বিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• যারা এডমিট কার্ড বা পূর্ববর্তী পরীক্ষার প্রশ্নে নকল লিখে আনবে, তা দেখে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখবে এবং লেখার সাথে উত্তরের মিল পাওয়া যাবে সেক্ষেত্রে এ অপরাধ “চ” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত কোর্সের পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• যারা পরীক্ষার সময় হলে কর্তব্যরত পরিদর্শকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে তারা "ছ” শ্রেণিভূক্ত অপরাধ করেছে বলে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত শিক্ষার্থীকে জরিমানা হিসেবে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
• যারা পরীক্ষার খাতা চুরি করে বাইরে থেকে নকল লিখে আনবে সেক্ষেত্রে এ অপরাধ “জ” শ্রেণীভূক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তি হলো; উক্ত সেমিস্টারের সকল পরীক্ষা বাতিল হবে এবং নকলকারীকে জরিমানা হিসেবে ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, অক্টোবর সেশনের ক্লাস শুরু হয় গত ১৮ জুন থেকে। নিয়মিত ক্লাস-মূল্যায়ন শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। গবিতে দুই সেশনে ভর্তি ও পরীক্ষা হয়। এগুলো এপ্রিল ও অক্টোবর। এর পর থেকে অবশ্য সেশন পরিবর্তন করে জানুয়ারি এবং এপ্রিল করা হচ্ছে। প্রতি ৬ মাসে এক সেমিষ্টার করে বছরে দুই সেমিষ্টার সম্পন্ন হয়।
ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআর//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: