লাইভ প্রতিবেদক: তিনি আর ক্যাম্পাসে আসবেন না। বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দিবেন না। গ্রুপ স্টাডিটাও আর হবে না। সবই শেষ হয়েগেছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা-বাবা ও স্বজনদের কান্না যেন থামছেই না। তরতাজা সন্তানের লাশ দেখে তার মা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন। তিনি পড়াশনা করতেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে। ৫ম সেমিস্টারে।
পুলিশ ও নিহতরে বন্ধুরা জানান, আল আমিন গেল শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই পরীক্ষার জন্যে ক্যাম্পাসে ছিলেন। পরীক্ষা শেষে তিনি কমন রুমে বসা ছিলেন। তখন তার চোখ বন্ধ ছিলো। দুই তিনজন বন্ধু এই দৃশ্য দেখে তার কাছে আসেন। তাকে ধরতেই দেখতে পান জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। তখন এক বন্ধু তার মোবাইল ফোনটা নিয়ে আল আমিনের পরিবারের সাথে যোযোগের চেষ্ঠা করেন। কিন্তু ফোন লক থাকায় তারা আল আমিনের হাতের কাছে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে লকটা খুলেন। পরে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে আসতে বলেন। ততক্ষনে দেহটা অনেকটাই নিতর হয়েগেছে। তাকে তার বাবাসহ বন্ধুরা কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১টা ১০মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ভিন্ন একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তার সাথে ক্যাম্পাসের কয়েকজন নেশাখোর ছেলের দ্বন্দ ছিলো। আলাআমিনকে নেশা গ্রহনের চেষ্ঠা করে তারা ব্যর্থ হয়। পরে ওই দিন পরীক্ষার আগে মারধর করে। বিষয়টি আল আমিন গোপন করে। সে ভাবতে থাকে পরীক্ষার পরে এসব নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু আলা আমিন অসুস্থ হয়ে গেলে ওই নেশাখোরদের কয়জন তাকে সেবা করার নামে কাছে এসে হাতে ও শরীরের ষ্পর্শকাতর স্থানে চাপাচাপি করে। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত আল আমিনকে কোন ধরনের পোস্ট মর্টেম ছাড়াই তার পিতা বাবুল আক্তারের কাছে লাশ হস্তান্তন করা হয়। নিহতেরগ্রামের বাড়ি গাজিপুর জেলার শ্রীপুরের আশুলিয়া গ্রামে। লাশ এলাকায় নিয়ে গেলে কান্নার রুল পড়ে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানায় একটি অপর্মত্যুর মামলা হয়েছে।
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: