নাটোর লাইভ: এমন দৃশ্য দেখে ও শুনে সকলেই হতবাক। লোকে বলাবলি করছে এমন দৃশ্য যেন কারো ভাগ্যে না দেখা দেয়। যেই শুনেন সেই থমকে দাঁড়ান। আক্ষেপ করেন। নাটোরের আবদুলপুর রেলজংশন স্টেশনে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ (২৫) নামের এক এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার বাবা অ্যাডভোকেট ইসাহাক আলীও ট্রেনে ছিলেন। ছেলের আকস্মিক মৃত্যু নিজের সামনেই হয়েছে। এঘটনায় বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। আজ শনিবার সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটের দিকে আবদুলপুর রেলজংশন স্টেশনে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানাগেছে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকায়। তার বাবা ইসাহক আলী পাবনা জজকোর্টের আইনজীবী। একজন শান্ত স্বভাবের শিক্ষার্থী ছিলেন ইমতিয়াজ। তার মৃত্যুতে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ান্যদিকে মৃত্যুর খকবর ইমতিয়াজের সেই প্রিয় ক্যাম্পাসে যেন মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এসময় গোটা ক্যাম্পাসে শোকের পরিবেশ বিরাজ করে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালপুরের আব্দুলপুর জংশন স্টেশনে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে এসে থামে। লোকজন ছুটাছুটি করে ট্রেনে উঠতে থাকে। এ সময় ইমতিয়াজ ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামেন। পরে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে ইমতিয়াজ চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এই করুন দৃশ্য ইমতিয়াজের বাবাও প্রত্যক্ষ করেছেন।
আবদুলপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ জিয়াউদ্দিন জানান, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রেল লাইনের ওপর থেকে মৃতদেহটি সরিয়ে রেখেছে। ঘটনাটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানাকে অবহিত করা হয়েছে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে লাশ নিয়ে গেছে। নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলেই হতবিহবল।
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: